চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে আঁকড়ে ধরার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে জনগণকে বন্দী করে রেখেছে সরকার। বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। মহামারী করোনার এই প্রকোপকালে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বন্দীরা কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনার কারণে বন্দীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। একটি কামরায় ৭০ জন বন্দীকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে। কারাগারে বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং করোনা মোকাবেলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেল গেটের সামনে কারামুক্ত বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুনসহ নেতাকর্মীদের বরণকালে এসব কথা বলেন। এসময় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র জনতা বুকের রক্ত ঢেলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষের। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বর্তমান সরকার একটি বিভীষিকাময় শাসন বিদ্যমান রেখেছে। যার নমুনা দিনের ভোট রাতে হয়, বিনাভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। তথাকথিত উন্নয়নের নামে লুটপাট ও অত্যাচারের এক দুঃসহ নব্য ফ্যাসিবাদ আজ জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দার মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, জি এম আইয়ুব খান, ইয়াকুব চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, আবু মুসা, আবদুল হাই, আবদুল কাদের জসিম, হাজী মো. ইলিয়াছ, মো. বেলাল, এস এম আবুল কালাম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।