রাষ্ট্রীয় সম্পদ, উপাসনালয় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসুন

মীর হেলালের বিবৃতি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৮ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্রীয় সম্পদ, উপাসনালয় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসার জন্যে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, এ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ, ধর্মীয় উপাসনালয় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় আমাদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। আমাদের সফল অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। স্বৈরাচারী প্রেতাত্মার অনুসারী ও ভিনদেশীদের প্ররোচনায় একটি বিশেষ মহল বিচ্ছিন্নভাবে সরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। এই দেশ বিরোধীদের রুখে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করতে চট্টগ্রাম বিভাগসহ বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে মনে প্রাণে ধারণ করে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় রাখতে হবে।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি। মীর হেলাল বলেন, ছাত্রজনতার নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন আন্দোলন সফল করতে বিএনপির নেতৃবৃন্দ যে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করছেন তা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে।

মীর হেলাল বলেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী। তাদের মুক্ত করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দিয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবিতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ। একটি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করে চলমান পরিস্থিতিতে সজাগ দৃষ্টি রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘দখলমুক্ত হলো আইআইইউসি’
পরবর্তী নিবন্ধ১১ দফা দাবিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আরএনবি সদস্যদের কর্মবিরতি পালন