রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাচ্ছে না সিপিবি

যাবে না ইসলামী আন্দোলনও

| রবিবার , ২ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

জোটসঙ্গী দল বাসদের পর সিপিবিও জানাল, তারা নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবে না। না যাওয়ার ব্যাখ্যায় বাম দলটি বলেছে, গত দুই বার এই সংলাপে অংশ নেওয়ার পর তাদের নতুন কিছু বলার নেই বলে এই সিদ্ধান্ত। গতকাল শনিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে অপরাগতা জানিয়ে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত সিপিবি ও বাসদ ছাড়াও বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ইসি নিয়োগে মতবিনিময়ের জন্য বঙ্গভবনে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সিপিবির সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি নির্ধারণ করা ছিল। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, সিপিবি নির্বাচনের আমূল সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল। এই অবস্থায় হুবহু একই আলোচ্য সূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সেকারণে তাতে যোগদানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।
সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোয় সিপিবি নেতাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। কমিশনের মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। চিঠিতে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে একটি নির্বাচন কমিশন মনোনীত করা জরুরি জানিয়ে দ্রুত আইন প্রণয়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বর্জনের পর রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপকে তাৎপর্যহীন আখ্যা দিয়ে তাতে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
চরমোনাইয়ের পীর সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে দেশের চিন্তাশীল মহল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বরং জনগণ মনে করছে, রাষ্ট্রপতির সংলাপে ফলপ্রসু কিছু হবে না। অতীতের দুইটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে বলে জনগণ মনে করে না। জনআকাঙ্খার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না। সংলাপের অংশ না নেওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুর ইসলাম ও প্রকৌশলী আশরাফুল আলম সেখানে ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশ বাগানে বেড়ে ওঠা বাঁশের পণ্যেই সচ্ছলতা
পরবর্তী নিবন্ধসদরঘাট থানা ও ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা