নোয়াখালীর আদালতে করা রাষ্ট্রদ্রোহের আরও একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলার বিশেষ জজ আহসান তারেক এ আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবী এ বি এম জাকারিয়া।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে আদালতে নালিশি মামলার আবেদন করেন। আবেদনটি ২৭ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে থানা পুলিশ। মামলায় তারেক রহমানকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই জসিম উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
তারেক রহমানের পক্ষে জাকারিয়া, রবিউল হক পলাশ, নুরুল আমিন, মাহমুদুল হাসান শাকিল, আমির হোসেন বুলবুল, আব্দুল কাইয়ুম দিদারসহ অর্ধশত আইনজীবী মামলাটি পরিচালনা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জাকারিয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। রায়ে তারেক রহমানকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলা থেকে খালাস দিয়েছে আদালত। মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানির অভিযোগে মামলার বাদী একরামুল হকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেই বক্তব্যে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে অস্বীকার করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন যুবলীগ নেতা একরামুল হক বিপ্লব। পরে এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর আগে ২১ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছে নোয়াখালী একটি আদালত।