কক্সবাজার–চট্টগ্রাম মহাসড়কে রামুর দেড় কিলোমিটারের ব্যবধানে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পৃথক সময়ে রামুর জোয়ারিয়ানালা মুরাপাড়া, গুচ্ছগ্রাম এবং রশিদনগর এলাকায় এই তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, বৃষ্টির কারণে সড়কটি পিচ্ছিল ছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরের পর সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এ সময় মহাসড়কের রামুর জোয়ারিয়ানালা মুরাপাড়া এলাকায় হানিফ–সৌদিয়া বাস, গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বাস–সিএনজি টেক্সি ও রশিদনগরে সৌদিয়া–মারচা পরিবহনের দুটি বাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পৃথক তিনটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪০ থেকে ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাইওয়ে থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তিনটি স্পটেই হাইওয়ে পুলিশের টিম পাঠানো হয়। সঙ্গে স্থানীয়রা উদ্ধারে সহায়তা দেয়। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কবলিত বাসগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বারবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে দেখে কক্সবাজার–চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি ৬ লেইনে উন্নীত করা দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।