রানা কতটা মারাত্মক ম্যাচে টের পাবে জিম্বাবুয়ে : শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৫ at ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের পেস বোলিং সেনশেসন এখন নাহিদ রানা। আর ম্যাচে তিনি কতটা ভয়ংকর বোলার, সেটি আজ থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল টের পাবে বলে গতকাল জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রানার গতি নিয়ে জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামসের খোঁচার জবাবে একথা বলেন শান্ত। রানার বিপক্ষে কোন ফরম্যাটে কখনও মুখোমুখি হননি উইলিয়ামস । সংবাদ সম্মেলনে ডানহাতি পেসার রানার গতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উইলিয়ামস বলেন, ‘আজকাল অনেক বোলার দ্রুত গতিতে বল করে। এটা এমন নয় বিশ্বের একমাত্র দ্রুত গতির বোলার রানা। আমাদের কাছে এমন বোলিং মেশিন আছে যা বেশিরভাগ বোলারের চেয়ে দ্রুত গতিতে বল করতে পারে।’ রানাকে নিয়ে উইলিয়ামসের মন্তব্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে গতকাল সিলেটে সাংবাদিকদের শান্ত বলেন, ‘আগামীকাল(আজ) মাঠে রানার মুখোমুখি হলে জিম্বাবুয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবে। যখন সে বোলিং করবে এবং জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা তার মুখোমুখি হবে তখন প্রতিপক্ষের শারীরিক ভাষাই বলে দিবে রানা কেমন, কত দ্রুত গতির এবং কতটা অসাধারণ বোলার।’ দ্রুত গতিতে বল করার জন্য রানাকে উৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানান শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি একাডেমির দিন থেকেই তাকে চিনি। তার কাছে সবসময় সহজ বার্তা ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করা। যদি সে আগামীকাল খেলে, আমি আশা করব দ্রুত গতিতে বল করবে সে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, দেশের ক্রিকেটে টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই সিরিজ দিয়েই নতুন কিছু করে দেখাবেন তারা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সামপ্রতিক পারফরম্যান্সে অবশ্য খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। গত বছর শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করতেই পারেনি তারা। সব মিলিয়ে দেশে সবশেষ ১৬ ম্যাচে জয় মাত্র ৩টি। অথচ দেশের বাইরে ২০২৪ সালে তিন ম্যাচ জিতেছে তারা। ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে আপাতত সহজ প্রতিপক্ষকেই পেয়েছে বাংলাদেশ। শঙ্কার জায়গাও অবশ্য থাকছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সবশেষ জয়টি সিলেটের মাঠেই। ২০১৮ সালে এই মাঠের অভিষেক উৎসব পণ্ড করে ১৫১ রানে জিতেছিল সফরকারীরা। সামপ্রতিক ফর্ম অবশ্য এখন আরভাইনদের পক্ষে নয়। তাই তাদের বিপক্ষে জিতলেও তেমন কৃতিত্ব হয়তো পাবেন না শান্তরা। তবে হেরে গেলে নিশ্চিতভাবেই দাঁড়াতে হবে কাঠগড়ায়। তবে শান্ত অবশ্য এটিকে চাপ ভাবতে চান না। বড় যে কোনো দলের বিপক্ষে যে মানসিকতায় খেলা শুরু করেন, একইভাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশ অধিনায়কের। ‘আমরা এভাবে দেখছি না। এই জিনিসগুলা অনেক সময় আপনাদের থেকে আসে। অনেক সময় সাধারণ মানুষ আসলে এই তুলনা করে যে জিম্বাবুয়ে বা অন্য ছোট দল বা বড় দলএগুলো। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা আসলে বল বাই বল চিন্তা করি যে, কীভাবে ওই বলটার সঙ্গে লড়াই করে জিততে পারি। আমরা কীভাবে সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তা গুরুত্বপূর্ণ। জিম্বাবয়ের সঙ্গে যেভাবে খেলব সেই মনমানসিকতা, শরীরী ভাষা, চিন্তাভাবনা যেন দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের সঙ্গেও থাকে। এই জায়গাটায় যেন পার্থক্য তৈরি না হয়।’ হুমকি সামাল দিতে বাংলাদেশ দলেও সামর্থ্যবান ক্রিকেটারের কমতি নেই। গত বছরে ঘরের মাঠে নাজুক পারফরম্যান্স ও সামনের দিনগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাসের রসদ নেওয়ার আশায় পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই সিরিজটি খেলতে নামছে বাংলাদেশ। তাই ম্যাচের একাদশ সাজানোর সময় হয়তো কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে অধিনায়ক, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের আগের দিন দুপুরে তাই নিজেদের একাদশ, এমনকি সমন্বয় নিয়েও কোনো ধারণা দিতে চাননি শান্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেয়র একাডেমি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধঅভিনয়শিল্পী সংঘের নেতৃত্বে আজাদ-অপু