সকালে কর্মস্থলে উপস্থিতির সুবিধার্থে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়ার নির্দেশনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ চিঠিকে নকল দাবি করে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন।
ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মফিজুর রহমানের নামে গত মঙ্গলবার পাঠানো এই চিঠি দেওয়া হয় কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর রূপালী ব্যাংক শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামকে। চিঠিটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ম্যানেজার মো. মফিজুর রহমানের দাবি তিনি এ চিঠি দেননি; তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মারক নম্বর ডিওএস ৩১ অনুসারে জনাব মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসারকে এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে ব্যাংকিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আপনাকে সকাল ৯ ঘটিকায় কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার সুবিধার্থে রাত ১০ ঘটিকার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হল।’
ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মফিজুর রহমান তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে দাবি করে বলেন, ব্যাংকের অপর এক সিনিয়র অফিসার স্বপন সিকদার ফান করে শহিদুল ইসলামকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। তারা দুজন ব্যাচমেট। এ ফান করা চিঠিই ভাইরাল হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। ম্যানেজার আরও বলেন, সিনিয়র অফিসার শহিদুল ও স্বপনকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।