মহেশখালীতে লবণ পরিবহনের কার্গো ট্রলার থেকে এক তরুণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম নাজমুল হাসান (১৭)। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙা ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণ মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ ঘোনাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ফেরদৌস মাঝির ছেলে। কার্গো ট্রলারের মালিক ও মাঝির পক্ষ থেকে ওই তরুণ নদীতে পড়ে গিয়ে মারা গেছে বলে দাবি করা হলেও নিহতের বাবার অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বাবা বলেন, আমার ছেলে নাজমুল হাসান মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় একটি কার্গো বোটে লবণ বোঝাই করতে ঘটিভাঙা ঘাটে যান। রাতে বোটের মাঝি আমাকে মোবাইলে ফোন করে জানান, নাজমুল কাজ করার একপর্যায়ে বোট থেকে পানিতে পড়ে রাত ১১টার দিকে নিখোঁজ হয়। সকালে স্থানীয় জেলেরা আমার ছেলের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি জানতে পেরেছি রাতে ওই নৌযানে থাকা অন্য শ্রমিকেরা আমার ছেলেকে মারধর করেন। এ সময় ঘাটের আশেপাশের লোকজন আমার ছেলের শোর চিৎকার শুনেছে। তারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
কার্গো ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, তিনজন শ্রমিক নিয়ে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা খালে তার নৌযানটি লবণ বোঝাই করতে যায়। সেখানে নৌযানটি নোঙর করার জন্য রশি বাঁধার একপর্যায়ে নাজমুল পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। রাতে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে লাশটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ সময় নিহত নাজমুলের চোখে আঘাতের চিহ্ন ও কানে রক্ত দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।