ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর বোমাবর্ষণ করার পর মঙ্গলবার আরও ফিলিস্তিনি পরিবার গাজা ভূখণ্ডের প্রধান শহর গাজা সিটি ছেড়ে চলে গেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজা সিটির পূর্বাংশের শহরতলী সাবরা, শেজাইয়া ও তুফায় সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার সকালে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ করা হয়। গাজা সিটির উত্তরে জাবালিয়া শহরেও একই ধরনের হামলা হয়। এসব হামলায় ঘরবাড়ি ও রাস্তা ধ্বংস হয়। খবর বিডিনিউজের।
গাজা সিটির বাসিন্দা ইসমাইল (৪০) বলেন, ভূমিকম্প, এটাকে বলি আমরা। তারা লোকজনকে ভয় দেখিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করতে চায়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনীগুলো অস্ত্রের খোঁজে ও জঙ্গিদের ব্যবহার করা টানেল ধ্বংস করতে ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলিরা জিম্মিদের মুক্তি ও গাজা যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে।
দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজা সিটিতে নতুন একটি আক্রমণ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটি গাজা সিটিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শেষ ‘দুর্গ’ বলে বর্ণনা করেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাতে ও মঙ্গলবার সকালে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ১৮ জন নিহত হয়েছেন গাজা শহরের আশপাশে।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অর্ধেকের মতো এখন গাজা সিটিতে বসবাস করেন। তবে নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বাসিন্দা পশ্চিম দিকে সরে শহরটির কেন্দ্রস্থল ও উপকূলে জড়ো হয়েছেন। অন্যরা ঝুঁকি নিয়ে আরও দক্ষিণে গাজার মধ্যাঞ্চলে এবং খান ইউনিস শহরের নিকটবর্তী উপকূলীয় এলাকা আল–মওয়াসিতে চলে গেছেন।