রাতদিন টুংটাং শব্দে মুখর কামারপাড়া

ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের

| বুধবার , ১২ জুন, ২০২৪ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

 

আজাদী প্রতিবেদন ম

লোহা পেটানোর ‘টুংটাং’ শব্দে মুখর এখন নগরীর কামার পাড়া। কোরবানিকে কেন্দ্র করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পিটিয়ে কামাররা তৈরি করছেন দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। এসব জিনিস দুই ধরনের লোহার উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। একটি স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) এবং আরেকটি কাঁচা লোহা। কামাররা জানান, লোহা ও কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে এবার বেড়েছে। তাই গত বছরের চেয়ে এসব জিনিসের দামও বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরিতে দম ফেলার ফুরসত নেই কামারদের।

গতকাল শুক্রবার নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার ও মোগলটুলি কামার পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, দূর থেকেই পাওয়া যাচ্ছে হাপরের হাঁসফাঁস আর লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দ। এর সাথে ছড়াচ্ছে আগুনের স্ফুলিঙ্গ। অনেক ক্রেতা কামারদের কাছে এনে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে। এর মজুরিও লোহাভেদে নির্ধারণ করা হয় বলে জানা গেছে। নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার অজিত কর্মকার নামের এক কামার বলেন, কোরবানির ঈদের আগে আমাদের ভালো উপার্জন হয়। এ সময় অনেকে দা, ছুরি, বটি বানাতে আসে। আবার অনেকে আসে পুরনো দাছুরি ও বটিতে শান দিতে। তবে শান দেয়ার ব্যস্ততা বাড়বে কোরবানির ২৩ দিন আগে। তবে কেউ কেউ আবার আমাদের কাছ থেকে রেডিমেড পণ্য কিনতেও আসে। তবে স্প্রিং লোহা তৈরির জিনিসের চাহিদা বেশি।

কয়েকজন কামার জানান, স্প্রিংয়ের দা, ছুরি, বটি ও চাপাতি ওজনের ভিত্তিতে বিক্রি করা হয়। তবে পিস হিসেবে কিনতে গেলে একটি ভালো মানের চাপাতির দাম পড়বে ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। জবাই করার চুরি হাজার টাকা শুরু করে পাওয়া যাবে দেড় হাজার টাকায়। চামড়া ছাড়ানোর ছুরি পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, বটি ৫৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়।

মোগলটুলি এলাকার কামার অসীম কর্মকার বলেন, সারাবছর আমাদের প্রায় বসেই দিন কাটাতে হয়। বছরে একবার কোরবানি এলেই কাজের চাপ বেশি হয়। ঈদ চলে গেলে আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তাই বাধ্য হয়ে অন্য কাজ করতে হয়। বাপুদাদার আমল থেকে এই কাজ করছি। তাই ছাড়তেও পারছি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদইজ্যার চরে আসবো মহেশখালীর মিষ্টি পান খেতে
পরবর্তী নিবন্ধকোরবানির পশু হিসেবে চাহিদা বাড়ছে গয়ালের