রাঙ্গুনিয়া-রাউজানে হাটবাজার ও বিপণী বিতানে ভিড়

কেনা হচ্ছে বাড়তি পণ্য, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

রাঙ্গুনিয়া ও রাউজনা প্রতিনিধি | সোমবার , ৫ এপ্রিল, ২০২১ at ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে বিভিন্ন হাটবাজার ও বিপণী বিতানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাড়তি পণ্য কিনে ঘরে ফিরেছেন সাধারণ মানুষ। এতে সড়ক জুড়ে দিনভর তীব্র যানজট লেগেই ছিল। ফলে স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত। গতকাল রোববার এমন দৃশ্য দেখা যায়।
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করায় মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করেছে। অনেক মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও শপিংমলগুলোতেও লোকজনের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের কেনাকাটাও সেরেছেন কেউ কেউ। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়ার অন্যতম বড় বাজার রোয়াজারহাট, লিচুবাগান, দোভাষী বাজার, রাণীরহাট, ধামাইরহাট, গোচরা ও শান্তিরহাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য- চাল, ডাল, তৈল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন। এর মধ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্যের বিক্রিও ছিল চোখে পড়ার মতো। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দিনভর উপজেলা প্রশাসন নানা প্রচারণা চালিয়েছে। তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে রাউজান প্রতিনিধি প্রতিনিধি জানান, গতকাল সারাদিন রাউজানের হাটবাজার গুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভীড়। বেশির ভাগ মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতির মাঝেও নারীরা শিশু কোলে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে গেছে বিপণী বিতান গুলোতে। সারাদিন মুখে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জনচেতনতা সৃষ্টিতে পৌর এলাকায় মাকিং করতে দেখা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ উপজেলার বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোট পরিচালনা করেছেন। মাস্ক না থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের দায়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদীকে বলেছেন, আজ থেকে শুরু হওয়া লকডাইন কঠোর ভাবে কার্যকর করতে যা যা করার দরকার সবকিছু করা হবে। সকলকে মানতে হবে সরকারি নিদেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় কেবল দুই শর্তে : হাই কোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধকরোনাকালে দেশের ৫০ শতাংশ নার্স বিষণ্নতায় ভুগছেন : গবেষণা