রাঙ্গুনিয়ায় সড়কের গাছ কেটে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

বন বিভাগের মামলা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৬ জুলাই, ২০২৫ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নে সড়কের দশটি গাছ এবং চন্দ্রঘোনার কোদালা বনবিট এলাকা থেকে দুটি সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তবে মামলা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না দুর্বৃত্ত চক্রদের। আইনের ফাঁকে বেরিয়ে আসা এই চক্রকে দমনে সংশ্লিষ্টরাও অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন।

জানা যায়, উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের তাইজ্জ্যা হাটে সড়কের দুই পাশ থেকে রাতের আঁধারে দশটি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুবৃত্তরা। কয়েদিন আগে গভীর রাতে এসব গাছ কেটে নেওয়া হয়। কেটে নেওয়া গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এই বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এরআগেও একই কায়দায় সড়কের গাছ কেটে নেয়ার ঘটনা ঘটলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্বৃত্তদের আস্ফালন বেড়ে চলেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, পিচঢালা সড়কের দুইপাশে গাছগুলো পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেধ সৃষ্টি করেছে। দুর্বৃত্তরা সড়কের সারি সারি গাছের মধ্যে বেছে বেছে বড়গাছগুলো কেটেছে। এরমধ্যে অনেক গাছের গুঁড়ি স্থানীয় করাতকলে দেখা গেলেও তা উদ্ধারে কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। ফলে এই সুযোগে তা বিক্রিও করে দেয়। যা দেখার পর স্থানীয় অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল্লাহ্‌ জানান, গাছ কাটার বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পরিষদের পক্ষ থেকে ইউএনও বরাবর লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ফেসবুকে করাতকলে নেয়া কিছু গাছের গুঁড়ির ছবি ভাইরাল হয়েছে। আগামী রোববার এসব গাছ উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। তবে এলাকার জনসাধারণকে সড়কের গাছ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনাকদমতলী ইউনিয়নের কোদালা বন বিটের সংরক্ষিত বন অফিসের টিলা থেকে দুটি সেগুন গাছ গভীর রাতে কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে অভিযান চালিয়ে কর্তনকৃত সেগুন গাছের ২২ টুকরো (২২ ঘনফুট) উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান কোদালা বিট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট কোদালা বিটে যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৫টি মামলা দিয়েছি। সর্বশেষ সেগুন গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনাতেও মামলা দেয়া হয়েছে। তবে বিটের ৪ জন মিলে বিশাল বন পাহারা দিযতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে অভিনব কায়দায় জেলেদের মাছ চুরি
পরবর্তী নিবন্ধ২৬ জুলাই : আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয় ডিবি