রাঙ্গুনিয়ায় নদী খননের বালু থেকে কৃষি জমি রক্ষার দাবি

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২৯ জুন, ২০২২ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া অংশে খননের (ড্রেজিং) কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নদীভাঙন ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে নদী খননের বালু কৃষি জমিতে ফেলার চেষ্টায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, অব্যাহত নদীভাঙনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি প্রকল্পের আওতায় কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া অংশে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ১০ কিলোমিটার খনন করার কাজ চলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নদীতীরবর্তী রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ঘাটচেক থেকে শুরু করে চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ও মরিয়মনগর ইউনিয়নের নদীসংলগ্ন অংশে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। ড্রেজার দিয়ে নদী খননের বালুগুলো পাইপ দিয়ে নদীতীরে তোলা হচ্ছে। এরপর এক্সকেভেটরের মাধ্যমে বিশালাকার স্তুপ করে জমা করা হচ্ছে বালু। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কদমতলী বিলে দেখা যায়, নদীতীরের অদূরে কদমতলী বিলের ফসলি জমিতে নদী খননের বালু ও কাদামাটি ফেলার প্রক্রিয়া চালায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এজন্য তারা কৃষি জমির মাটি খনন করে বিশালাকার বাঁধও দিয়েছে। তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, তাদের কৃষি জমিতে খনন করা বালি ফেলা হলে তাদের কৃষিজমি নষ্ট ও অনাবাদি হয়ে যাবে।

কদমতলী বিলের কৃষক মাস্টার মধুসূদন ঘোষ জানান, যেই জমিতে বালি ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তা ১৯৮০ সালে ১২ একর জমি পাউবোর অনুকূলে অধিগ্রহণ করা হয়। যার শতভাগ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয়নি। অধিগ্রহণের রেকর্ডও চূড়ান্ত হয়নি। কৃষকরা ওই জমি ফেরত চেয়ে ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ফসলি জমিতে নদী খননের কাদাবালু ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মানুষের উপকারের জন্যেই তো এসব কাজ, তাই যাতে মানুষের ক্ষতি না হয়, সেজন্য ওই জমিতে বালি ফেলতে মানা করে দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহোটেলের বর্জ্য সাগরে
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি সন্দেহে ৩০৩ বস্তা চাল জব্দ