রাঙ্গুনিয়ায় বেড়ে চলেছে চুরির ঘটনা। বেশ কিছুদিন ধরে তা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত ২ মাসে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন সাধারণ জনসাধারণ। দক্ষিণ রাজানগরের রাজারহাট এলাকার ইউপি সদস্য মুসলিম সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে তার এলাকা থেকে ট্রাকে করে গরু চুরির সময় স্থানীয়রা বুঝতে পারেন। এলাকার মানুষ বের হয়ে তাদের ধাওয়া করলে একটি গরু ফেলে চুরি করে নিয়ে যায় ৩টি গরু। পুলিশকে জানিয়েও তাদের আর ধরা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
দক্ষিণ রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মদ ছৈয়দ তালুকদার বলেন, ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ফুলবাগিচা গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে সম্প্রতি গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার টাকা পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এছাড়া পাশের এলাকার আবু সৈয়দ ও হাফেজ মো. হারুনের বাড়িতেও চুরি ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তবে চুরি ঠেকাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের এলাকায় বেশি তৎপর হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আবছার জসিম জানান, গত মঙ্গলবার সংঘবদ্ধ চোর চক্র স্থানীয় মনিরুল ইসলাম জুয়েলের মালিকানাধীন কুলিং কর্ণার থেকে নগদ টাকা, একটি এলইডি টিভিসহ মূল্যবান মালামাল, নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন মুদির দোকান থেকে ৭টি গ্যাস সিলিন্ডারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া মো. ফরিদ নামে দরিদ্র এক রিক্সা চালকের মালিকানাধীন একটি অটোরিকশা ভাংচুর চালিয়ে চারটি ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে। এর কয়েক মাস আগেও এলাকার কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন একটি দোকান থেকে দিনদুপুরে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা যায়, গত এক মাসের ব্যবধানে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এভাবে সংঘবদ্ধ চোর চক্র প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বসতঘর, দোকানে চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি বলেন, বেশকিছু চোরকে ধরে আমরা জেল হাজতেও পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা ছাড়া পেয়ে আবারও চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। চুরি ঠেকাতে এলাকায় পুলিশের টহল আরো জোরদার করা হচ্ছে। তবে এলাকাবাসীকেও আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।