রাঙ্গুনিয়ায় রিনা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম পোমরা নবাবী পাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি একই এলাকার প্রবাসী জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী এবং রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের আবদুল মোনাফের মেয়ে। নিহত গৃহবধূ রিনা দুই সন্তানের জননী ছিলেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রিনাকে হত্যা করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা নাজিম উদ্দিন বলেন, স্বামী জাহেদ বিদেশ চলে যাওয়ার পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। তাকে ফোন করে নানাভাবে স্ত্রী সম্পর্কে ভুল বুঝাতো। তাই স্বামী ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরাও স্থাপন করেছেন। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তারা নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আজ (গতকাল) ফোনে জরুরিভাবে ডাকলে তারা যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়।
নিহত গৃহবধূর মা আরফা বেগম বলেন, গত চার বছর ধরে আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে। তিন ননদ মিলে প্রায় সময় বাপের বাড়ি এসে নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করতো। এমনকি দেবরও প্রবাস থেকে এসে দুইবার মারধর করেছে। তার শ্বশুর সমাধান করবে বলে বার বার আশ্বাস দিলেও সর্বশেষ আমার মেয়েকে তারা লাশ বানিয়ে ছাড়লো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর তালুকদার রনি বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে ফোনে ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শ্বশুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।