আসন্ন ইউপি নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূর কুতুবুল আলমের নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তিনি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিউল আলম এসব সাজানো দাবি করে তার নির্বাচনী গণসংযোগকালে উল্টো তার ওপর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাইয়ের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেন। গতকাল রোববার উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে এলাকাজুড়ে উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূর কুতুবুল আলম অভিযোগ করেন, শনিবার দিনগত রাতে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে তার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী শফিউল আলম ও তার সমর্থকরা। এই বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সাজানো দাবি করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শফিউল আলম বলেন, ‘এটি পরিকল্পিতভাবে নিজেরা পুড়িয়ে আমাদের হয়রানি করার পাঁয়তারা করছেন তারা।’ গণসংযোগকালে রোববার সকালে তার ওপর হামলা করা হয়েছে দাবি করে শফিউল আলম বলেন, ‘সকালে কর্মী সমর্থক নিয়ে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর পথে ৬নং ওয়ার্ড গাগ্গুলাতল এলাকার কাছাকাছি গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই জানে আলমের নেতৃত্বে ২০/৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র হাতে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তাকে হেনস্থা করা হয় এবং এতে তার পরনের পাঞ্জাবি ছিড়ে যায়। এছাড়া তার সমর্থক আনোয়ার হোসেন (২৭), আবুল হোসেন (৩২), বেলাল হোসেন (৪৯) এবং আলী আকবর (৩৩) সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে এবং তার কয়েকটি প্রচারগাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছিল এবং ৬নং ওয়ার্ডে তার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে থানাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূর কুতুবুল আলম হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এদিন গাগ্গুলাতলায় তার নির্বাচনী ক্যাম্পে গণসংযোগে যাওয়ার জন্য অবস্থান করছিলেন সমর্থকরা। এসময় ক্যাম্পের পাশ দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিউল ও তার সমর্থকরা যাওয়ার সময় উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে তাদের মধ্যে সামান্য বাকবিতন্ডা হয়। তবে তার ভাই জানে আলমের মধ্যস্থতায় কোনো মারামারি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাপক জনসমর্থন দেখে নিশ্চিত হারবেন জেনে শফিউল এখন ভিন্নপথ অবলম্বন করছে বলে তিনি দাবি করেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিলকী বলেন, হামলার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।