রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কয়েক বছর আগে উপজেলা পরিষদের গেট নির্মাণের জন্য এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের পর প্রশাসনের নাকের ডগায় আবার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ড সংস্কারের সময় উপজেলা আদালতের সামনে ড্রেনের উপর নির্মাণ করা ৪ টি দোকান ও আদালতের দক্ষিণে উপজেলা পরিষদ গেট নির্মাণের জন্য আরো দুটি দোকান উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কয়েকদিন ধরে একই জায়গায় রাতের আঁধারে টিন দিয়ে আরো দুটি স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। আদালতের আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, আদালতের সামনে দোকান নির্মাণ হলে কোলাহল বাড়বে। প্রতিদিনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।
স্থানীয় মো. নুরুল ইসলাম জানান, ‘১৯৯৬ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দোকানটি আমাকে বরাদ্দ দেন। উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাথে স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়। আমি দোকানের ভাড়া মসজিদ কমিটিকে নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। কয়েক বছর আগে উপজেলা পরিষদ গেট নির্মাণের জন্য আমার দোকানটি ভেঙে দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী নতুন করে দোকান নির্মাণের অনুমতি দিলে অগ্রাধিকার আমি পাবো।’ রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন শাহ্ জানান, ‘নতুনভাবে যেখানে দোকান নির্মাণ করা হয় সেখানে আগে দোকান ছিল। দোকানটিসহ আরো ৪ টি দোকান এখান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। উপজেলা কম্পাউন্ডের ভিতর নতুন করে দোকান হলে কম্পাউন্ডের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব বলেন, ‘দোকান নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। দেখে ব্যবস্থা নেব।’