রাঙ্গুনিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের উপর সশস্ত্র গ্রুপ নিয়ে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট আজিজুল হক শামীম ওরপে অ্যালেন শামীমের (৩৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলার শিকার আবু বক্কর সিদ্দিক দিদার বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শামীম ছাড়াও তার সহযোগী সাদ্দাম, রুবেল, আনোয়ার ও মোকাররমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও ৩/৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এরমধ্যে ঘটনার পর পর মোকাররম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে পারুয়া কোকানীয়া এলাকার মো. হারুনের ছেলে। গেল মঙ্গলবার অ্যালেন শামীমের আস্তানায় র্যাব হানা দিয়ে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিলো। জব্দ করা হয়েছিলো তার আস্তানা নিয়ন্ত্রণ কাজে ব্যবহৃত সিসিটিভি ক্যামরাসহ বিভিন্ন ডিভাইস। অভিযানকালে অ্যালেন শামীম পালিয়ে যায়। এরপর রাতের আঁধারে স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের খড়ের গাদা পুড়িয়ে দেয় শামীম। বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাটচেক এলাকায় এসে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমদের সন্তান আবু বক্কর সিদ্দিক দিদারসহ দুই জনকে বেধড়ক মেরে রক্তান্ত করে সে। এছাড়া ওইদিন রাতেই পারুয়া এলাকার আরও তিনজনকে বেধড়ক মেরে রক্তাক্ত করেছে। অভিযুক্ত পলাতক শামীম পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকার মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, শামীমের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের উপর হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা দিয়েছে ভুক্তভোগী। আমরা শামীমসহ মামলার বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।