চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গরু চুরি করে বিক্রির জন্য নেওয়ার পথে তিন চোরকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মহিষের বাম এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। তারা হলেন একই ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়া চিপছড়ি এলাকার মো. জামশেদ (৩৫), পূর্ব খুরুশিয়া খাজা টিলা এলাকার মো. করিম (২৭) এবং একই গ্রামের মাইজপাড়া এলাকার আবুল হোসেন (২৬)।
তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী গরুর মালিক পদুয়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব খুরুশিয়া গাইনের বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ আজিজ বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে আজিজের গোয়ালঘর থেকে এক বছর বয়সী ৫০-৬০ হাজার টাকা দামের গরুটি চুরি করে এই তিন ব্যক্তি। তা পাশের পূর্ব খুরুশিয়া পূর্ব পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে জবাই করে তারা। এদিকে রাতে আজিজের গরু চুরির খবর জানাজানি হয়ে যায় সর্বত্র। ভোর ৫টার দিকে জবাই করা গরুর মাংস বস্তা ভরে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো জামশেদ।
নেওয়ার পথে পদুয়ার মহিষের বাম এলাকায় এলে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। দুই বছর আগেও গরু চুরি করে ধরা পড়েছিলো জামশেদ। তাই তাকে আটক করে গণধোলাই দিলে স্থানীয়দের কাছে চুরির কথা শিকার করে সে।
তার মাধ্যমে কৌশলে চুরির সাথে জড়িত করিম ও আবুল হোসেনকেও আনা হলে তাদেরও মারধর করলে তারাও চুরির কথা শিকার করে। এরমধ্যে লোকমুখে গরুচোর ধরা পরার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন গরুর মালিক আজিজ। তিনি চামড়া ও মাথা দেখে এটি তার গরু বলে শনাক্ত করেন। এরমধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আটক তিনজনকে থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয় মো. সাইদুল জানান, আটককৃতরা পুলিশ ও উপস্থিত সকলের সামনে চুরির কথা শিকার করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে শংকিত খামার মালিকরা রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে যাচ্ছিলো বলে তিনি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, “স্থানীয়রা তিন গরু চোরকে আটক করার খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আটক ব্যক্তিরা সবার সামনে চুরির কথা শিকার করে জবানবন্দি দেয়। এছাড়া গরুর মালিক চামড়া আর মাথা দেখে চিহ্নিত করে এটি তার চুরি যাওয়া গরু। তিনি থানায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার (৭ মে) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।”