রাঙামাটিতে ধ’র্ষণের দায়ে আসামির যাবজ্জীবন কারাদ’ণ্ড

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ১:৫৩ অপরাহ্ণ

রাঙামাটিতে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোজাম্মেল হক (৪০) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মনেয়াবাদ গ্রামের মৃত আতাউল হমের ছেলে। তবে সে রাঙামাটি জেলা শহরের রিজার্ভ বাজার পুরান বস্তি এলাকায় ভাড়ায় বাসায় থাকতো।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ দুপুরে আসামি মো. মোজাম্মেল হকের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আসামি ভিকটিমকে পেঁয়াজ কেটে দেওয়ার জন্য তার ঘরে ডেকে নেয়। পরে ভিকটিমকে ঘরে প্রবেশ করিয়ে আসামি দরজা বন্ধ করে দেয়।

পরে ভিকটিম চিৎকার করলে তার মুখে কাপড়গুজে দিয়ে মাটিতে ফেলে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে না দেখতে পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে আসামির ঘরে এসে আসামিকে দরজা খুলতে বলে। পরে আসামি কোনো সাড়া না দিলে আশেপাশে প্রতিবেশীরা এসে আসামির ঘরে দরজা লাথি মেরে খুলে দেখেন আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করছে।

পরে ভিকটিমকে উদ্বার ও আসামিকে আটক করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার পুলিশ সোপর্দ করা হয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রায়ের আদেশে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও শিশুটির পরিবারকে ৯০ দিনের মধ্যে ১ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আসামির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে জেলা কালেক্টরকে (জেলাপ্রশাসক) দায়িত্ব দেয়া হয়।

এ বিষয়ে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, আদালতে রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে নারীজনিত অপরাধ কমে আসবে বলে আমি মনে করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঘাইছড়িতে পাহাড়ধস, ঢলের পানিতে কয়েক গ্রাম প্লাবিত
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফে ৬০ হাজার ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক