রাঙামাটির বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাঙামাটি জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে জাতীয় রাজনীতি করতে গেলে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এনসিপি যদি এখানে খুব বেশি শক্তিশালী হয়, হয়তো অন্য কারো মাথা ব্যথা হতে পারে। পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। কিন্তু আমাদের দ্বারা এদের কোনো শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। নাগরিক পার্টি করছি আমরা টেন্ডারবাজি–চাঁদাবাজি করার জন্য না। এরা যদি মনে করে তাদের চাঁদাবাজি–টেন্ডারবাজিতে হাত পড়বে, কোনো সমস্যা হবে এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা নিয়মতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। এদেরকে নিয়ে আমাদেরও শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা শহরের কে কে রায় সড়ক এলাকায় একটি রেস্তেরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করল দলটি। সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি রাঙামাটি জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ককারী বিপিন জ্যোতি চাকমা, যুগ্ম সমন্বয়ককারী মো. জাহিদুল ইসলাম, উজ্জ্বল চাকমা, মো. সাহেদুল ইসলাম, শাহিদুল ইসলাম খান, দিবাকর চাকমাসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত শনিবার রাতে বিপিন জ্যোতি চাকমাকে প্রধান সমন্বয়কারী, ছয় জনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট এনসিপির রাঙামাটি জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশিত হয়। অনুমোদিত কমিটিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ ৫ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।