রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত শুরু

রাউজান প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে দলটি। তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল গতকাল সোমবার দুপুরে প্রথমে রাউজানে গিয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের সাথে কথা বলেন। পরে বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় নসিমন ভবনে গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের সাথে কথা বলেন। আজিজুল বারী হেলালের সঙ্গে ছিলেন সোলাইমান মঞ্জু, সাখাওয়াত হোসেন, আহমদুল রাসেল, নেসারুল হক, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ। তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ না খুললেও যথাসময়ে দলের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার কথা জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

প্রথমে রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎকার নেন তদন্ত কমিটি সদস্যবৃন্দ। তদন্ত কমিটিকে ঘটনার বর্ণনা দেন আবু জাফর চৌধুরী, ফিরোজ মেম্বার, সৈয়দ মঞ্জুরুল হক, হাবিব উল্লাহ মাস্টার, সাবের সুলতান কাজল, আনিসুজ্জামান সোহেল, মো. আলী সুমন, লিটন মহাজন, তসলিম উদ্দিন, শাহাদাত মির্জা, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, আশেকুর রহমান ফয়েজসহ ১৮২০ জন।

উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, আমরা প্রকৃত ঘটনা উত্থাপন করেছি, আমরা আশাবাদি ন্যায় বিচার পাবো। আমাদের উপর হামলা করে আমাদের নেতার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ভুল বক্তব্য দিয়ে অপ্রচার করা হয়েছিল। অথচ আমাদের নেতা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, তিনি রাউজানবাসীর শান্তি নিশ্চিতকল্পে কাজ করছেন। জনপ্রিয়তায় ইশ্বার্নিত হয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন।

অপরদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় নসিমন ভবনে গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হওয়া গোলাম আকবর খোন্দকার ঢাকায় থাকায় তদন্ত কমিটিকে সাক্ষাত দিতে পারেননি বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

তবে তার অনুসারী উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম মোরশেদ বলেন, কমিটির সদস্যরা আমাদের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নেন। আমাদের প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, আবু মোহাম্মদ, ইফতেখার উদ্দিন খান, জিএম মোরশেদ, এইচ এম নুরুল হুদা, ফোরকান সিকদার, মাহাবুবুল আলম, সিরাজ উদ দৌলা চেয়ারম্যান, মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ১২১৫ জনের সাক্ষাৎকার বা ঘটনার বর্ণনা শুনেন।

এর আগে দুপুুরে রাউজানে ঘটনার বর্ণনা শুনার পর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আজিজুল বারী হেলাল বলেন, রাউজানের বিএনপি ঐকবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনকে মোকাবেলা করতে হবে। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচন না করে পেছনের দরজা দিয়ে বা নির্বাচনকে অনিশ্চিয়তা করে তুলবার অপচেষ্টা করছে। বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেব আমরা যারা বিএনপি করি দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে, নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরি করতে হবে। শিগগরই দেখবেন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। সে নির্বাচনকে মোকাবেলা করবার জন্য আপনাদেরকে আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রতিদিন যে বক্তব্যগুলো দেয় নতুন দিনের রাজনীতি, সেই নতুন রাজনীতি শুরু করতে হবে। আওয়ামী লীগের স্টাইলে রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না। সে রাজনীতি পরাজিত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআর ফিরল না রাফি
পরবর্তী নিবন্ধআহতদের ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ অর্ডার দিয়েছিলেন হাসিনা