রাউজানে অস্বভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক, দুই ঘর বিধ্বস্ত

রাউজান প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ১০:০৯ অপরাহ্ণ

রাউজানে ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে উপজেলা জুড়ে। বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে কয়েকটি কাঁচা ঘর।

অস্বভাবিক জেয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা। বিচ্ছিন্ন ছিল ইন্টারনেট সেবা, বিদ্যুৎ। জনদুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। মঙ্গলবার (২৮ মে) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর জোয়ারে অস্বভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার দক্ষিণে অন্তত ৪০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ফসলি ক্ষেত। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ে বাসিন্দারা। উপজেলার নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, উরকিরচর, বিনাজুরী ও পশ্চিম গুজরায় কিছু কিছু কাচাঁ ঘরের ছালা বাতাসের সাথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। মঙ্গলবার বিকেলে কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হলেও আরও কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

রাউজান সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে একটি মাটির ঘর ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু। হাসিনা বেগম নামে এ নারীর পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি।

উরকিচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল বলেন, তাঁর ইউনিয়নে ৮-১০টি সড়কসহ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সরওয়ার জাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাউজান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের বড় বড় ডাল-পালা পড়ে বিদ্যুতের তার ও খুঁটির ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বিদ্যুৎ অফিসের লোক মেরামতের কাজ করে দ্রুত বিদ্যুৎ- সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নেওয়াজ মোর্শেদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর তালিকা নিরূপণ করা যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজানে মহিষ চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধ‘হালদায় লবণাক্ততা পানি ছড়িয়ে পড়ায় পুরোদমে ডিম ছাড়েনি মা মাছ’