রমজানের আগেই বাড়ছে চিনির বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি মণ (৩৭.৩২ কেজি) চিনির দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। কেজি হিসেবে ২ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির বাজার নিম্নমুখী হলেও দেশের বাজারে চিনির এমন দরবৃদ্ধির কারণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। তারা বলছেন, সরকারি চিনির দাম কমানোর পাশাপাশি বেসরকারি চিনির মিল মালিকদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। কারণ পাইকারি বাজারে চিনি আসে বেসরকারি মিল থেকে।
গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারিতে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯৪০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৮৬০ টাকায়। এছাড়া কাজীর দেউড়ির খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের চিনি ব্যবসায়ী আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, চিনির বাজার চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় আরো বেশি। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, চিনির বাজার নিয়ে আসলে নতুন করে কিছু বলার নাই। আমাদের দেশে হাতেগোনা কয়েকটি গ্রুপ চিনির পরিশোধন ও বিপণনের সাথে জড়িত। সরকার চাইলে এসব কোম্পানিকে নজরদারির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সে সবের কিছুই হচ্ছে না। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছেন।












