রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা,আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | শনিবার , ২ মার্চ, ২০২৪ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ে রঙ্গীন ফুলকপি চাষে সফল এখন অনেক কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী হিসেবে অনেক কৃষক এখন রঙ্গীন ফুলকপি আবাদ করেছেন। নতুন জাতের এ ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন তাদের জমিতে ভিড় করছেন মানুষ। ফুলকপি ও বাঁধাকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপির দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। আগামীতে আরো বেশি রঙিন ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহী তারা।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের দুই কৃষক ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের একজন কৃষক প্রদর্শনী হিসেবে ৩০০টি করে রঙিন ফুলকপি আবাদ করেছেন। প্রথমবারই সফল হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে আবাদ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

পূর্ব হিঙ্গুলী এলাকার কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, আমি প্রথমবারের মতো কৃষি অফিসের সহায়তায় ৩০০টি রঙিন ফুলকপির আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বিক্রিও প্রায় শেষের দিকে। কৃষি কর্মকর্তারা আমাকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আজমনগর এলাকার কৃষক জসীম উদ্দিন বলেন, রঙিন ফুলকপি চাষ করে প্রথমবার সফলতা পেয়েছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আমি যখন ফুলকপি চাষ করি, তখন অনেকেই বলেছিল এ এলাকায় ভালো হবে না। মনের জোরে চাষ করে এখন বেশ সাড়া পেয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ বেশি। বাজারেও চাহিদা বেশি। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ। চারা রোপণের ৭০৮০ দিনের মধ্যেই কপি বিক্রি করা যায়। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ, সি এবং কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, এন্টিঅক্সিডেন্টসহ মানবদেহের উপকারী উপাদান রয়েছে।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো উপজেলার হিঙ্গুলী ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের তিনজন কৃষককে ৩০০টি করে ১২০০টি চারা প্রদর্শনী দিয়েছি। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী তারা ভালো করেছেন। তাদের দেখাদেখি অনেক কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আগামীতে ব্যাপকভাবে এর আবাদ বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগৃহকর্মী গ্রেপ্তার, ২৩ ভরি স্বর্ণ ও দুই লাখ টাকা উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধরোজার আগে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল