যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন ও কর্মস্থল

ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী | সোমবার , ২৬ জুন, ২০২৩ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

নীতিমালার ৪ ধারায় যৌন হয়রানির সংজ্ঞা বলা হয়েছে :

৪ (১) যৌন হয়রানি বলতে বুঝায়-

ক) অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন আবেদনমূলক আচরণ (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতে) যেমন: শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা;

খ) প্রাতিষ্ঠানিক এবং পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে কারো সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা;

গ) যৌন হয়রানি বা নিপীড়নমূলক উক্তি;

ঘ) যৌন সুযোগ লাভের জন্য অবৈধ আবেদন;

ঙ) পর্ণোগ্রাফি দেখানো;

চ) যৌন আবেদনমূলক মন্তব্য বা ভঙ্গি;

ছ) অশালীন ভঙ্গী, অশালীন ভাষা বা মন্তব্যের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করা বা অশালীন উদ্দেশ্য পূরণে কোন ব্যক্তির অলক্ষ্যে তার নিকটবর্তী হওয়া বা অনুসরণ করা, যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে কৌতুক বলা বা উপহাস করা;

জ) চিঠি, টেলিফোন, মোবাইল, এসএমএস, ছবি, নোটিশ,কার্টুন, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল, নোটিশ বোর্ড, অফিস, ফ্যাক্টরি, শ্রেণীকক্ষ, বাথরুমের দেয়ালে যৌন ইঙ্গিতমূলক অপমানজনক কোন কিছু লেখা;

ঝ) ব্লাকমেইল অথবা চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে স্থির বা ভিডিও চিত্র ধারণ করা;

ঞ) যৌন হয়রানির কারণে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষাগত কার্যμমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হওয়া;

ট) প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখাত হয়ে হুমকি দেয়া বা চাপ প্রয়োগ করা;

ঠ) ভয় দেখিয়ে বা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা স্থাপনের চেষ্টা করা।

ক-ঠ ধারায় উল্লিখিত আচরণসমূহ নারীর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং অপমানজনক। কোন নারী যদি এ ধরনের

আচরণের শিকার হন এবং যদি তিনি মনে করেন যে, এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তার কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাক্ষেত্রে বা যেখানে তিনি আছেন সেখানকার পরিবেশ তার উন্নয়নের জন্য বাধা বা প্রতিকূল হতে পারে তাহলে উক্ত আচরণসমূহ নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক বলে বিবেচিত হবে।

ধারা ৫: সচেতনতা এবং জনমত সৃষ্টি:

ক) সরকারী – বেসরকারী সকল কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার বৈষম্য, যৌন হয়রানী এবং নির্যাতন দমন এবং নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে নিয়োগদাতা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেতনতামূলক প্রকাশনার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন। এ বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে শ্রেণীর কাজ শুরুর পূর্বে শিক্ষার্থীগণকে এবং সকল কর্মক্ষেত্রে মাসিক এবং ষান্মাসিক ওরিয়েন্টেশন ব্যবস্থা রাখতে হবে ।

খ) প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।

গ) সংবিধানে উল্লিখিত অনুচ্ছেদ এবং সংবিধিবদ্ধ আইনে নারী শিক্ষার্থী এবং কর্মে নিয়োজিত নারীগণের যে অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ করা আছে তা সহজভাষায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

ঘ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যক্তিগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের নিয়োগকর্তাগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং কার্যকরী মতবিনিময় করবেন।

ঙ) সংবিধানে বর্ণিত জেন্ডার সমতা এবং যৌন অপরাধসমূহ সম্পর্কিত দিকনির্দেশনাটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করতে হবে ।

চ) সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত নিশ্চয়তাসমূহ প্রচার করতে হবে ।

ধারা ৬: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাঃ

সকল নিয়োগকর্তা এবং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানী প্রতিরোধের লক্ষ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে অন্যান্য পদক্ষেপ ছাড়াও তারা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ।

ক) এ নির্দেশনায় উল্লিখিত ৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানী এবং যৌন নির্যাতনের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে তা কার্যকরভাবে প্রচার এবং প্রকাশ করা ।

খ) যৌন হয়রানী সংক্রান্ত যে সকল আইন রয়েছে এবং আইনে যৌন হয়রানী ও নির্যাতনের জন্য যে সকল শাস্তির উল্লেখ রয়েছে তা ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে ।

গ) কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের পরিবেশ নারীর প্রতি যেন বৈরী না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং কর্মজীবী নারী ও নারী শিক্ষার্থীগণের মাঝে এ বিশ্বাস ও আস্থা গড়ে তুলতে হবে যে, তারা তাদের পুরুষ সহকর্মী ও সহপাঠীদের তুলনায় অসুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে না ।

হাইকোর্টের নির্দেশনায় যৌন হয়রানি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বিষয়ে অভিযোগ, পর্যবেক্ষণ ও প্রতিকারে ৫সদস্য বিশিষ্ট অভিযোগ কমিটি (Sexual Harassment Compliant Committee) গঠন করার নির্দেশনা রয়েছে যাতে জেন্ডার এবং যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে এরূপ সংগঠনের ২জন প্রতিনিধি রাখতে হবে। অভিযোগ কমিটির বেশির ভাগ সদস্য যে রায় দিবে তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে এবং সকল সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের শৃঙ্খলা বিধি অনুসারে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং যদি উক্ত অভিযোগ দন্ডবিধির যে কোন ধারা অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ফৌজদারী আইনের আশ্রয় নিতে হবে যা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচার হবে।

দুই আঙ্গুলের পরীক্ষা :

তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন একজন ধর্ষিতা নারীর যৌন কার্যকলাপে পূর্বের সম্পৃক্ততার মূল্যায়ন করার জন্য একটি পরীক্ষা করা হয় যা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামে পরিচিত এবং এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পার ভ্যাজাইনাল টেস্ট (Par Vaginal Test) বলা হয়। এটি ভুক্তভোগীর জন্য একটি বেদনাদায়ক এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা। এটিকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল। এটা প্রত্যাহার করা উচিত। (প্রথমআলো ১৫ই মার্চ, ২০১৬)

ভারতে এটি ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ। আমাদেরও এটা বন্ধ করা উচিত।

সড়ক পরিবহন মালিকদের কাছে তাদের শ্রম বিক্রি করা ছাড়া জীবিকা নির্বাহের আর কোনো উপায় নেই দরিদ্র এই শিশুদের। শারীরিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি ইত্যাদি অসহনীয় আচরণের পরও তাদের অবস্থান আপেক্ষিকভাবে অধঃস্তন।

তথ্য (টেবিল-০১) শারীরিক নির্যাতন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ৩০৯ জন উত্তর দাতা (৯১.৪২%) হ্যাঁ বলেছেন, তাদের মধ্যে ২৮ (০৯.০৬%) হাতে নির্যাতন, ২৮১ (৯০.৯৪%) মেশিনের যন্ত্রাংশ দ্বারা /যন্ত্র দিয়ে নির্যাতনের কথা বলেছেন, ২৯ (০৮.৫৮%) উত্তরদাতা নির্যাতনের কথা বলেননি।

যৌন হয়রানি সম্পর্কে, মাত্র ৪৩ (১২.৭২%) উত্তরদাতা যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে হেলপার দ্বারা ১৭ (৩৯.৫৩%), মালিকদের দ্বারা ১১ (২৫.৫৮%), গ্যারেজ মালিকদের দ্বারা ১০ (২৩.২৫%) এবং ড্রাইভার দ্বারা ০৫ (১১.৬৩%)। আমাদের সংস্কৃতিতে কেউই যৌনতা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে না। এমনকি যদি তারা নির্যাতিত হয় তবে তারা সত্যটি অন্যদের কাছে প্রকাশ করে না কারণ আমাদের সংস্কৃতিতে এটা কেউ সহজভাবে নেয় না।

আমরা জানি শুধু শিশু শ্রমিক নয়, সাধারণভাবে শ্রমিকরাও মালিকদের দ্বারা শোষিত। তথ্য (টেবিল-০১) জানান দিচ্ছে যে শিশুরা শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনেরও শিকার হয়; শিশুদের বেশিরভাগকে হাতে, মেশিনের যন্ত্রাংশ, যন্ত্র ইত্যাদি দ্বারা নির্যাতন করা হয়। কিন্তু তারপরও তাদের এই দুষ্ট চক্র এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

জনশুমারী ও গৃহগণণা ২০২২’র সমন্বয়কৃত গণণায় জানা যায় দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮লাখ ২৮হাজার ৯১১জন। তম্মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী (১৫-৫৯ বছর) ৬২শতাংশ সংখ্যায় যা ১ কোটি ৫০লাখ। ২৮শতাংশ তরুণ এদের সংখ্যা ৪কোটি ৭৮লাখ। (বিবিএস)। কিন্তু ইউএনএফপিএ’র বৈশ্বিক জনসংখ্যা পরিস্থিতি প্রতিবেদন ২০২৩ এ বলা হয় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭কোটি ৩০ লাখ (প্রথমআলো, ২০ এপ্রিল ২০২৩)।

জাতীয় যুব নীতি ২০১৭ অনুযায়ী ১৮-৩৫ বছর বয়সীরা যুবা অবশ্য জাতিসংঘের বর্ণণায় ১৫-২৪ বছর বয়সীরা যুবা। বিবিএস’র সাম্প্রতিক তথ্যে জানা যায় দেশে ২৯বছরের কমবয়সী জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৫৬.৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে প্রায় ৯কোটি ৪০লাখ জনসংখ্যার বয়স ২৯বছরের কম। Demographic dividend জনমিতিক সুফল বা অর্থনীতিবিদের ভাষায়- window of opportunity ২০৩২/৩৩ সাল পর্যন্ত। সাম্প্রতিক তথ্যে জানা যায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা কর্ম কোন কিছুতেই নেই ২৯.৮০% যাদেরেকে ঘঊঊঞ বলা হয়। আবার যুবদের মধ্যে মাদকাসক্তের হার উদ্বেগজনক। বলা হয় ‘তরুণরা ইতিহাস সৃষ্টি করে, বুড়োরা ইতিহাস লিখে’। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে সঙ্কল্পবদ্ধ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীই তুরস্কের পরিবর্তনের অগ্রণী বাহিনী। মাস্টার দা সুর্যসেনের নেতৃত্বে ৬০/৬৫ জনের ত্যাগী যুবারা ১৯৩০ সালে ভারত কাপাঁনো চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের চালিকা শক্তি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ছাত্র যুবরাই ছিল মূল নিয়ামক শক্তি।

কবি বলেছেন ‘ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার’। আজকের ছাত্র যুবাদের যুদ্ধ হচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে, যৌন হয়রানি তথা নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে, অপশাসনের বিরুদ্ধে, অসমতা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে, পর্ণোগ্রাফির ভয়াল থাবা থেকে নিজেকে রক্ষা করার যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, পাহাড়, সমতল, দ্বীপ, উপকুল , হাওড়, বাওড়, নির্বিশেষে সবার জন্য সম্পদ এবং সুযোগের সমহিস্যা ও ন্যায্যতা নিশ্চত করার যুদ্ধ। ভোট, ভাত ও মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করার যুদ্ধ। অপরাধ ও মাদকে জড়িয়ে না পরার যুদ্ধ।

জরুরী করণীয় হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (Fourth Industrial Revolution )কে মাথায় রেখে পাঠক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা একাডেমিয়ার সাথে এন্টারপ্রাইজের নিবিড় সংযোগ ঘটাতে হবে উন্নত দেশ গুলোর মত। দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে Technical Education and Vocational Training (TEVT), IT এবং নানা ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে। যেমনটি বলা হয় ‘The destiny of India is now shaped in her class room.Õ ’ আইএলও’র তথ্য অনুযায়ী এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শিক্ষিত বেকারত্বের হারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কর্মমুখী শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে। প্রকাশিত তথ্যে জানা যায় স্নাতকদের ৪৭ শতাংশ বেকার, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষিতদের মধ্যে ২৯.৮শতাংশ বেকার আর তারও নিচের স্তরে ১৩.৪শতাংশ বেকার।

সর্বোপরি এসডিজি’র লক্ষ্য সমূহ বিশেষ করে লক্ষ্য ৪; Quality Education , লক্ষ্য ৫; Gender equality লক্ষ্য ৮; Decent work and economic growth , লক্ষ্য ১১; Sustainable cities and communities এবং লক্ষ্য ১৬; Peace, justice and strong institutions অর্জনে অধিক মনোযোগী হতে হবে জাতিকে তাতেই একটি আধুনিক, বিজ্ঞান মনস্ক কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ যুব সমাজ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব যাতে শিক্ষাঙ্গন ও কর্মস্থলে নারী অপেক্ষাকৃত কম যৌন হয়রানিমুক্ত থাকবে বলে আশা করা যায়।

লেখক : সমাজ বিজ্ঞানী ও সিনেট সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারম্যান ঘাসফুল ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবহমান সময়
পরবর্তী নিবন্ধজোভান-ফারিণের ঝগড়া!