যৌতুকের টাকার জন্য চন্দনাইশে স্ত্রীকে মারধর, গুরুতর জখম ও পা ভাঙার ঘটনায় স্বামী মোস্তাক আহমদকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব বৈলছড়ি উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মো. ইব্রাহিমের মেয়ে ডেজী আক্তারের (৩১) সাথে চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ছাদেকপাড়া এলাকার মৃত ওমর মিয়ার
ছেলে মোস্তাক আহমদের (৩৮) বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী মোস্তাক স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য বারবার শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। বাপের বাড়ি থেকে কয়েকবার টাকা এনে দেন স্ত্রী। সম্প্রতি ব্যবসার কথা বলে মোস্তাক স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে আরো ২ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। ডেজী টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার উপর শুরু হয় নির্যাতন। সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর রাতেও তাকে মারধর করে পা ভেঙে দেয়।
খবর পেয়ে পরদিন সকালে চন্দনাইশ থানা পুলিশ ও ডেজীর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জানা যায়, ডেজীর সংসারে দেড় বছর ও ৫ মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি এখনো হাসপাতালে আছেন।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যৌতুকের দাবিতে মারধরের ঘটনায় ডেজী আক্তার তার স্বামী মোস্তাক আহমদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামি মোস্তাক আহমদকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।