প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করার পর প্রতারণামূলক নিকাহ নিবন্ধন না করে আরেক মেয়ের সাথে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়ার সময় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম খোরশেদ আলম (৩১)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলাধীন দোহাজারী হাছানদন্ডী মাঝের পাড়া এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র। রাশেদা বেগম নামের এক যুবতীর দায়ের করা মামলায় পটিয়া থানা পুলিশ খোরশেদকে গত শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার পুলিশ তাকে কোর্টে চালান দেয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটিয়া উপজেলাধীন উত্তর খরনা মাঝির পাড়া এলাকার আবদুল হামিদের ৬ কন্যা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি বর্তমানে শয্যাশায়ী। তার প্রথম কন্যা রাশেদা বেগম মাস্টার্স পাস করে এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করছেন। খোরশেদ আলম উত্তর খরনা মাঝির পাড়াস্থ নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে আসছিলেন। এখানকার প্রতিবেশী রাশেদা বেগমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জানুয়ারি খোরশেদ রাশেদাকে চন্দনাইশ কাঞ্চননগর মোস্তান আলী মসজিদে নিয়ে ইমাম সাহেবের মাধ্যমে বিয়ের আকদ পড়ান। এতে ১০ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করা হয়। বিয়ের পর থেকে খোরশেদ রাশেদার বাপের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাকে বিয়ের কাবিন (নিকাহ্্ নিবন্ধন) করে রাশেদাকে ঘরে তুলতে বললে তিনি ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসেন। এই টাকা না দিলে অন্য আরেক মেয়েকে বিয়ে করার হুমকি দেন। টাকা না পেয়ে খোরশেদ আনোয়ারা উপজেলাধীন পীরখাইন এলাকার তানিয়া নামের আরেক মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করেন।
খবর পেয়ে রাশেদা গত ৯ মার্চ চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পটিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। ১২ মার্চ পটিয়া থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটিয়া থানার এসআই আ ন ম এরশাদ উল্লাহ জানান, মামলার তদন্তভার পেয়ে খোরশেদকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে গতকাল শনিবার কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।