অল্প বৃষ্টিতেও কেন জলাবদ্ধতা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তার কারণ অনুসন্ধান করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সংস্থাটির পরিচ্ছন্নকর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহ করেন সংস্থাটির বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী।
সংগৃহীত তথ্য অনুয়ায়ী, চাক্তাই খালের বারইপাড়া থেকে ফুলতলা পর্যন্ত অংশে ভরাট হয়ে আছে। বিজিএমই ভবনের সামনে সিটি কর্পোরেশনের চলমান ড্রেন সংস্কার কাজ এবং জালালাবাদ টেক্সটাইল মোড়ে ড্রেনের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় পানি উঠে। বাংলা বাজার মোড়ে একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। সেখানে ভেতরে ভরাট হয়ে থাকায় পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে আশপাশের এলাকায় জলযট হয়। বালুচরা প্রাইমারি স্কুলের সামনে কোনো নালা না থাকায় পানি জমেছিল। হাটহাজারী রোডে জয়নব ক্লাবের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি বঙকালভার্ট রয়েছে। সেটাও ভরাট হয়ে আছে। এতে আশপাশের এলাকায় পানি জমে যায়। সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এলাকায় সিডিএর মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকার প্রভাবে কাট্টলী নয়াবাজার মোড়ে পানি জমেছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে মোবারক আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে মেয়রের নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশে সিটি কর্পোরেশনের যেসব কাজ ছিল তা আমরা করেছি। কিন্তু সিডিএ সব করতে পারেনি। তিনি বলেন, বারইপাড়া থেকে ফুলতলা পর্যন্ত জায়গায় সিডিএর মাটি উত্তোলন করার কথা ছিল। তারা সেটা করেনি। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে মনে করে সিডিএ বিভিন্ন জায়গা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেয়। যার কারণে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক নেই। আমরা পর্যবেক্ষণে আছি। কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি করণীয়ও ঠিক করেছি। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা না বলে জলযট বলা যায়। নগরে চলমান সিডিএর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, বৃষ্টি থামার সাথে সাথেই পানি নেমে গেছে। চকবাজার ফুলতলায় রাস্তার উপর দোকান বসানো হয়। তারা সব ময়লা–আর্বজনা ফেলে খালে। সেটা তো বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, খালের কোথাও বাঁধ নাই। কিন্তু ড্রেন পরিষ্কার না থাকলে খালে পানি যেতে তো সময় লাগবে। ড্রেন সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বলেও জানান তিনি।












