যেভাবে মুক্তি পেল এমভি আবদুল্লাহ

হাসান আকবর | রবিবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

হেলিকপ্টার থেকে ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ পাওয়া এবং ডলারগুলো আসল এবং মুক্তিপণের নির্ধারিত অংক গুনে নিশ্চিত হওয়ার পরই সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে পড়ে। ব্যাপক আলাপ আলোচনা এবং দর কষাকষির পর নির্ধারিত মুক্তিপণ পাওয়ার পর ছিনতাইয়ের ৩২ দিনের মাথায় জাহাজসহ নাবিকেরা মুক্তি পেয়েছেলে। সোমালিয়ার সময় শনিবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার শনিবার রাত ৩টা ৮ মিনিট) জাহাজটি মুক্তি পায়। এর পরপরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আল হারমিয়া বন্দরের পথে যাত্রা করে। উপকূল থেকে সাগরের দিকে তাদের যাত্রা নিরাপদ করতে দুইটি যুদ্ধ এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সাগরে পৌঁছে দেয়।

তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দেয়া মুক্তিপণের ডলার দস্যুদের হাতে পৌঁছার দৃশ্য নাবিকেরা জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন। ছোট্ট হেলিকপ্টার থেকে ডলার ভর্তি তিনটি হলদে রঙ্গের ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। এর আগে হেলিকপ্টার থেকে জাহাজের সব নাবিকের সুস্থ থাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়। ওই সময় জাহাজের ২৩ নাবিককে ডেকে এনে দাঁড় করিয়ে পেছনে অস্ত্র তাক করে রাখা হয়। সাগরে স্পিড বোট নিয়ে অপেক্ষমান দস্যুরা ডলার ভর্তি ব্যাগ পাওয়ার পর অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়। প্রায় আট ঘন্টা পর দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায় এবং মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। এত কম সময়ে সফলভাবে আলাপ আলোচনা এবং মুক্তিপণ পরিশোধ করে সোমালিয়া দস্যুদের কবল থেকে এর আগে আর কোনদিন কোন জাহাজের মুক্তি পাওয়ার রেকর্ড নেই।

স্মরণ করা যেতে পারে, গত ১২ মার্চ কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার সময় ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। তারা প্রায় ৬শ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে জাহাজটিকে ধরে সোমালিয়া নিয়ে যায়। অবশেষে ৩২ দিনের মাথায় জাহাজটি মুক্তি পায়। কেএসআরএম-এর বহরে যুক্ত হওয়ার আগে জাহাজটির নাম ছিল এমভি গোল্ডেন হক। কেএসআরএম জাহাজটির নাম দেয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। গত বছর থেকে কেএসআরএম- এর বহরে থাকা জাহাজটি প্রায় ৬০ হাজার টন খোলা পণ্য পরিবহন করতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩১ দিন পর মুক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য