চট্টগ্রাম মহানগরীর রেলক্রসিংগুলোতে প্রতিনিয়ত সিগন্যাল অমান্য এবং ব্যারিয়ার উপেক্ষা করে সিএনজিসহ যানবাহন চলাচলের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রেলক্রসিং এলাকার স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে সিগন্যাল দিয়ে ব্যারিয়ার ফেলে দেয়া হলেও উল্টোপথে সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন ক্রসিং পার হওয়ার জন্য ঢুকে যায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। রেল কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের দাবি- ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে ক্রসিং এলাকায় সিগন্যাল দেয়া হলে-সিগন্যাল অমান্য করে যাতে কোন যানবাহন ক্রসিং অতিক্রম করতে না পারে সেই ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। সরেজমিন নগরীর বেশ কয়েকটি ক্রসিং এলাকায় দেখা গেছে, ট্রেন ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করার সময় গেটকিপার সিগন্যাল দিলেও উভয় পাশের যানবাহন চালকরা ট্রেন যাওয়ার সময় না দিয়ে হুড়োহুড়ি করে ক্রসিং পার হতে চায়। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির আশংকা করছেন রেল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান আজাদীকে জানান, রেলক্রসিংয়ে আমাদের গেটকিপাররা সিগন্যাল দিয়ে ব্যারিয়ার ফেললেও গাড়ি চালকরা ব্যারিয়ার তুলে ক্রসিং পার হয়ে যায়। গেটকিপাররা বাধা দিলে অনেক সময় তাদেরকে হেনস্তা করা হয়। সিগন্যাল অমান্য করে উল্টো দিকে ক্রসিংয়ে প্রবেশের ফলে বড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এরকম সিগন্যাল অমান্য করে ক্রসিং এলাকায় সিএনজি ঢুকে যাওয়ায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অনেকেই। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেন না। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশকে কঠোর হতে হবে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে চট্টগ্রাম স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে জানান, রেলক্রসিংয়ে সিগন্যাল দেয়ার পর অমান্য করে ক্রসিং দিয়ে যানবাহন চলাচল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সিগন্যাল অনাম্য করে ক্রসিংয়ে যানবাহন ঢুকলে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। যখন ক্রসিংয়ে সিগন্যাল দেয়া হবে,তখন ড্রাইভারদের একটু ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন এই স্টেশন ম্যানেজার।