কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে নগরীর লালখান বাজার, কাজির দেউড়ি, জামালখান ও প্রেসক্লাব এলাকা ছেয়ে গেছে যুবলীগ নেতাদের ব্যানার- ফেস্টুনে। ব্যানার-ফেস্টুনের পাশাপাশি এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তৈরি করা হয়েছে তোরণ। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের তিনদিনব্যাপী চট্টগ্রামে সাংগঠনিক সফরকে ঘিরে তৃণমূলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আশার আলো দেখছেন- নতুন কমিটির পদ প্রত্যাশী ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা। সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার স্থল জামালখান প্রেসক্লাব এলাকা, সার্কিট হাউস, লালখান বাজার, কাজির দেউড়ি পুরো এলাকা ছেঁয়ে গেছে যুবলীগ নেতাদের ব্যানার- ফেস্টুনে। বর্ধিত সভাকে ঘিরে সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে এসব ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। বছরের পর বছর মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি। তৃণমূলে হতাশা বিরাজ করছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের চট্টগ্রাম আগমনকে ঘিরে আশার আলো দেখছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গতকাল প্রথমদিন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ উত্তর জেলার বর্ধিত সভা: আজ বেলা ২টায় উত্তর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। প্রধান বক্তা থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ। অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কায়কোবাদ ওসমানী, মো. মইনুল ইসলাম মামুন, মো. মুনায়েম খান, রেজাউল করিম বাপ্পী।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুনকে সভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই কমিটির সভাপতি এস.এম আল মামুন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।