বৃহত্তর চট্টগ্রামের সামপ্রতিক ভয়াবহ বন্যার অব্যবহিত পর থেকেই মানবতার সেবায় আত্মনিবেদিত যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা বন্যাক্রান্ত জেলা গুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘ তিন দশকের প্রান্তে এসে জেএসইউএস সুদূর কুমিল্লার তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
গত ১৯ অক্টোবর কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঝলম ইউনিয়নে ডলার মোল্লার বাড়িতে জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাছাইকৃত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মধ্যে প্রতিবন্ধী ১২০টি পরিবার শুকনো খাবার বিতরণ কালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল বাছাই করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে এসে জেএসইউস ত্রাণ বিতরণে যে মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, জেএসইউএস আগামীতেও এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। ইতোপূর্বে ও বন্যা দেখা দেয়ার সাথে সাথে বন্যা প্লাবিত মনোহর গঞ্জ উপজেলার বন্যার্ত ২০০ পরিবারে যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (জেএসইউএস) শুকনো খাবার বিতরণ করে তাৎক্ষণিক মানুষের দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট হয়। ঠিক এবারের আয়োজনটিও ছিলো ব্যতিক্রম।
১০ অক্টোবর থেকে জেএসইউএস এক জরীপ কার্যজক্রম পরিচালনা করে। ব্র্যাকের সহায়তায় জেএসইউএস পরিচালিত উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত প্রতিবন্ধী শিশুদেরসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরিবারের মধ্য থেকে ১২০টি প্রতিবন্ধী পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশাসনের সহায়তায় নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে বন্যার্তদের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রাথমিক তালিকা নিরুপণ করা হয়।
পরবর্তীতে ২০০টি প্রতিবন্ধী পরিবার হতে পরবর্তী ধাপে চুড়ান্ত তালিকাভূক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেএসইউএস সহকারী পরিচালক মো: আরিফুল ইসলাম, ভিএফএস এইচআর ম্যানেজার মো: আমিনুল ইসলাম, অপারেশন ম্যানেজার জাকির হোসাইন খান, ম্যানেজার এডমিন মো: নাহিদ হোসেন, ম্যানেজার ফিন্যান্স মো: আবদুল কুদ্দুস, অপারেশন অফিসার হৃদয় চৌধুরী রায়, অপারেশন অফিসার রেজা উদ্দিন, অপারেশন অফিসার মিথিলা, অপারেশন অফিসার আমিনুল। জেএসইউএসের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার (শিক্ষাও প্রশিক্ষণ) মো: মুনজিলুর রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার জোবেদা খাতুন, মনোহরগঞ্জ ওওএসসি শিক্ষা প্রকল্পের প্রোগ্রাম সুপারভাইজার তামান্না আক্তার বৃষ্টি, বরুড়া উপজেলা ওওএসসি শিক্ষা প্রকল্পের প্রোগ্রাম সুপারভাইজার খেনি মারমা, আনজিরুল হক ফাহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক ফৌজিয়া আক্তার, রোকেয়া বেগম এবং সীমা আক্তার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।