যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে যে কথা বলেছিল নির্বাচনের পরেও সেই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। গতকাল শুক্রবার কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম–আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর বাসায় শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।
মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে, সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, এটা সরকারের ভুল ধারণা। নির্বাচনের আগে যে কথা বলেছিল নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, সরকারের বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার–আটকের উদ্দেশ্য হলো–এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার অধিকার হরণ করেছে।
এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এ দেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এজন্য সরকার শঙ্কিত ও ভীত। সরকার বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর নিপীড়ন–নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কী হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কী পরিণতি হয়। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না। সরকার এ দেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে–এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর করে দিয়েছে তারা। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে প্রতিহিংসার রাজনীতি, সংঘাতের রাজনীতি।
দুষ্টু চক্রের রাজনীতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। এটা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, জনগণের জন্য মঙ্গলজনক। তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে মানুষের অধিকার একটা চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা। মানুষের অধিকার যদি দেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়, দেশ সৃষ্টির পেছনে যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।