যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগী ছাড়াল দেড় কোটি

| বৃহস্পতিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার উদ্বেগজনক এ মাইলফলকটি পার হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জনস হসপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫১ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৫ এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন দুই লাখ ৮৬ হাজার ২৩২ জন। দেশটিতে শুধু গত এক সপ্তাহেই ১৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ও কাউন্টিগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা রয়টার্সের টালি অনুযায়ী, অ্যারিজোনা, আলাবামা ও ওহাইও, অন্তত এই তিনটি রাজ্যে রোগীর সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধির মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। দেশটিতে সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ তো নেইই, বরং বছরের শেষ দিকের ছুটির দিনগুলোতে এর গতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রের যে ১৪টি রাজ্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়নি অ্যারিজোনা তার অন্যতম। মঙ্গলবার রাজ্যটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রেকর্ড ১২ হাজারেরও বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। এর আগে ৫ ডিসেম্বর রাজ্যটিতে একদিনে সর্বোচ্চ ছয় হাজার ৭৯৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। অ্যারিজোনার মতো আলাবামাও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর নতুন কোনো বিধিনিষেধ জারি করেনি। মঙ্গলবার এখানেও রেকর্ড সংখ্যক নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ওহাইওতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
‘থ্যাংকসগিভিং’ ছুটির দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বহু লোক পরিবার ও বন্ধুপরিজন নিয়ে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এর ফলাফল হিসেবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরও বাড়ার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তাদের।
তবে এরই মধ্যে একটি সুসংবাদ হচ্ছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) প্রকাশ করা নথিতে ফাইজারের টিকার নিরাপত্তা ও সক্ষমতার বিষয়ে কোনো আপত্তি জানানো হয়নি। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে জার্মানির বায়োএনটেক এসইর সঙ্গে যৌথভাবে ফাইজারের উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের বিরোধী জোটের এমপিদের পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধক্ষমতা গ্রহণের একশ দিনের মধ্যে একশ মিলিয়ন টিকা