যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের খুব সামান্য মতপার্থক্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাধর দেশটির নেতা এমন মন্তব্য করেন বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের প্রশ্নে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আমরা ৯০ শতাংশেরও বেশি বিষয়ে একমত এবং আমরা সেটা আরও জোরদার করার জন্য কাজ করছি। যেসব বিষয়ে আমাদের ভিন্নমত রয়েছে তা ১০ শতাংশেরও কম এবং আমরা সেসবের সমাধানে বোঝাপড়ার কাজ করছি। এ বিষেয় কোনো সন্দেহ নেই যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কৌশলগত অংশীদার। তবে কোনো ধরনের চাপ কিংবা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ভারত, রাশিয়া ও চীনের সাথেও কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি করছে সৌদি আরব। মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং ইয়েমেনে যুদ্ধের বিষয়ে রিয়াদের সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বছরের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে সৌদি আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রিন্স সালমান, যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক অভিযানে সৌদি নেতৃত্বের জোটের ওপর থেকেও সমর্থন তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।