রাশিয়া ও ইরান, উভয়েই ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বুধবার তড়িঘড়ি করে আয়োজন করা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন র্যাটক্লিফ। এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস রেইও এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন আগে দেশটির অন্যতম শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা র্যাটক্লিফ বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে কিছু ভোটার নিবন্ধনের তথ্য পৃথকভাবে ইরান ও রাশিয়ার হস্তগত হয়েছে। বেশিরভাগ ভোটার নিবন্ধনের তথ্যই যেখানে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সেখানে এমন অভিযোগ কী তাৎপর্য বহন করে প্রসঙ্গে র্যাটক্লিফ বলেন, ইতোমধ্যেই সরকারি কর্মকর্তারা লক্ষ করেছেন ইরান ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটারদের আতঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে সাজানো ইমেইল পাঠিয়ে সামাজিক অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। খবর বিডিনিউজের।
ডেমোক্র্যাট ভোটারদের কাছে পাঠানো ওই ইমেইলগুলো ট্রাম্পের সমর্থক কট্টরপন্থি গোষ্ঠী ‘প্রাউড বয়েজ’ এর ঠিকানা ব্যবহার করে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করে বলেছিল, ট্রাম্পের ক্ষতি করার জন্য ইরানকে সাহায্য করার চেষ্টায় রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের কূটনৈতিক মিশনের একজন মুখপাত্র তাদের দেশের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এক বিবৃতিতে মুখপাত্র আলীরেজা মিরইউসেফি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো আগ্রহ ইরানের নেই। এবং ইরানের পছন্দের কোনো প্রার্থীও নেই। বুধবার স্থানীয় সময় বিকালে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে গোপনীয় ব্রিফিং পান। এর পরপরই তিনি জানান, ইরান ট্রাম্পের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, র্যাটক্লিফের এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন তিনি।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ইরানের এবং আরও বিভিন্ন ঘটনায় রাশিয়ার অভিপ্রায় আমার কাছে পরিষ্কার, তারা মূলত নির্বাচনের ওপর আমাদের আস্থা নষ্ট করতে চাইছে। এসব পদক্ষেপ নির্দিষ্টভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জাড ডিয়ার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের উদ্যোগ সক্রিয়তার সঙ্গে নিরীক্ষণ ও ব্যর্থ করে দিতে সরকারি সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই ইমেইলগুলো তদন্তনাধীন আছে এবং কারা এসবের পেছনে আছে তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।