যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মাথাপিছু ২ হাজার ডলার দেবেন ট্রাম্প

| বুধবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

জনপ্রিয়তা বাড়াতে নতুন এক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নাগরিকদেরকে মাথাপিছু ২ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মূলত শুল্ক থেকে ট্রাম্প প্রশাসন যে রাজস্ব পাচ্ছে সেখান থেকেই দেওয়া হবে এই অর্থ। খবর বিডিনিউজের।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দেশের উপর শুল্কের যে বোঝা চাপিয়েছেন, তা নিয়ে খোদ আমেরিকানরাও অসন্তুষ্ট। শুল্কনীতি নিয়ে দেশের ভেতরে সেই ক্ষোভ প্রশমনেই ট্রাম্প প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রোববার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, লভ্যাংশ থেকে অন্তত ২০০০ ডলার করে প্রত্যেককে দেওয়া হবে।

তিনি আরও লেখেন, যারা শুল্কের বিপক্ষে, তারা মূর্খ! তবে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা কার্যকর হতে গেলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এ বছরের শুরুতে মিজৌরির রিপাবলিকান সেনেটর জশ হাওলি প্রায় সব আমেরিকান ও তাদের সন্তানের জন্য ৬০০ ডলারের শুল্ক রেয়াত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বিল উত্থাপন করেছিলেন। তখন হাওলি বলেছিলেন, বাইডেন প্রশাসনের চার বছরের নীতিতে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিলটি পাস হলে জনগণ ট্রাম্পের শুল্ক থেকে ফেরত আসা সম্পদের সুবিধা পাবে বলে যুক্তি দেখিয়েছিলেন তিনি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট অগাস্টে বলেছিলেন, প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য শুল্ক রাজস্ব দিয়ে জাতীয় ঋণ কমানো,যার পরিমাণ বর্তমানে ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। তাই তিনি বলেন, প্রথমে জাতীয় ঋণ শোধ করতে এই অর্থ কাজে লাগনো হবে, জনগণকে অর্থ ফেরত দেওয়ার কাজে নয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শুল্ক থেকে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার রাজস্ব এসেছে।

তবে যদি নাগরিক প্রতি ২ হাজার ডলার করে দেওয়া হয়, তাহলে এই খরচ শুল্ক থেকে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণকে ছাড়িয়ে যেতে পারেএমন আশঙ্কা আছে। ট্যাক্স ফাউন্ডেশনের ফেডারেল কর নীতি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিকা ইয়র্ক বলেন, যদি যোগ্যতার সীমা হয় বার্ষিক ১ লাখ ডলার আয়ের নিচে, তাহলে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ এতে অন্তর্ভুক্ত হবে,যার খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলার। সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করলে খরচ আরও বাড়বে।

এটাই প্রথম নয়, ট্রাম্প এর আগে একাধিকবার শুল্ক রাজস্ব থেকে আমেরিকানদের নগদ অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত অক্টোবরেও তিনি বলেছিলেন, রাজস্ব থেকে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ডলারের চেক দেওয়ার বিষয়টি তিনি বিবেচনা করছেন। জুলাই মাসেও তিনি শুল্ক রিবেটের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ও টেক উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির সাশ্রয় করা অর্থের ভিত্তিতে ৫ হাজার ডলারের ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। তবে পরে সরকারের ব্যয় রাজস্বের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্লেশ উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার জিতলেন ডেভিড সা-লাই
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনের কুপিয়ানস্ক শহরের ভেতরে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী