জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের পর শুক্রবার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন দলটির নেতা কিয়ার স্টারমার। এরপর তিনি নতুন অর্থমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। অর্থমন্ত্রীর নাম র্যাচেল রিভস ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী পেল যুক্তরাজ্য। র্যাচেল রিভসের জন্ম মার্গারেট থ্যাচারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাস আগে ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ–পূর্ব লন্ডনে। খবর বাংলানিউজের।
তার বাবা–মা উভয়েই শিক্ষক ছিলেন। বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে রিভস বলেছিলেন, আমরা দরিদ্র ছিলাম না। কিন্তু আমাদের অপচয় করার মতো টাকা ছিল না। রিভস অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি বিষয়ে পড়েছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাঞ্জেলা রায়নার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ ডেভিড ল্যামি। আর দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ইভেত্তে কুপার। এছাড়া জন হ্যালি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ব্রিজেত ফিলিপসন শিক্ষামন্ত্রী, ওয়েস স্ট্রিটিং স্বাস্থ্যমন্ত্রী, এড মিলিব্যান্ড জ্বালানিমন্ত্রী, শাবানা মাহমুদ বিচারমন্ত্রী, জোনাথন রেনল্ড বাণিজ্যমন্ত্রী, লিজ কেন্ডাল শ্রম ও কারামন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, লুইস হাইগ পরিবহনমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিবিষয়কমন্ত্রী, লিসা নন্দী সংস্কৃতিুবিষয়ক মন্ত্রী, উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী হিলারি বেন, ইয়ান মারে স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী, জো স্টিভেনস ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল রিচার্ড হারমার কেসি, ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর প্যাট ম্যাকফ্যাডেন, ড্যারেন জোন্স ট্রেজারির মুখ্য সচিব, লুসি পাওয়েল হাউস অব কমনস নেতা, স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল হাউস অব কমন্সের চিফ হুইপ ও অ্যাঞ্জেলা স্মিথ হাউস অব লর্ডসের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন।