যারা সাহিত্য চর্চা করেন তারা সময়কে ধারণ করেন

শৈলী লেখক-পাঠক উৎসবে আজাদী সম্পাদক

| বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

শৈলী লেখকপাঠক উৎসবে বক্তারা বলেছেন, সাহিত্যের কাজ সৌন্দর্য উৎপাদন করা, বিস্ময় তৈরি করা, যা সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত। সৃষ্টিশীলতাই লেখকের শক্তি। মানুষের চিন্তা, চেতনা, আবেগ, অনুভব ও কৌতুহলকে যা স্পর্শ করে তার সবই সাহিত্যের অনুষঙ্গ। এসব অনুষঙ্গ যেমন সাহিত্যের উপজীব্য, তেমনি এসবকে জাগিয়ে তোলা বা এসবের বিস্তৃতিও সাহিত্যের কাজ।

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধন করেন তিন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম, অধ্যক্ষ রীতা দত্ত ও অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়া। উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত সংবাদ ব্যক্তিত্ব এম এ মালেক বলেন, সাহিত্য চর্চা একটি অসাধারণ কাজ। যারা সাহিত্য চর্চা করেন তাদের অনেক বই পড়তে হয়, অনেক কিছু জানতে হয়। এই জানার মধ্যে দিয়ে তাদের জ্ঞানভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ হয়। তিনি আরো বলেন, লেখকরা সময়কে ধারণ করেন। তারা জ্ঞান সমুদ্রে বিচরণ করেন। যে কারণে তারা আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সব বিষয়ে অবগত থাকেন। তিনি বলেন, দৈনিক আজাদী সবসময় লেখকদের পাশে আছে। নতুন লেখকদের লেখালেখিতে উদ্ধুদ্ধ করে। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটির সাবেক উপাচার্য ড. মো. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, বাংলা সাহিত্যের প্রকাশনা জগতে এক উজ্জ্বল নাম ‘শৈলী প্রকাশন’। সাহিত্যিক উৎকর্ষ সাধন, নবীন লেখক সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা তৈরি এবং পাঠক সমাজে নতুন চিন্তার বীজ বপনে শৈলী প্রকাশনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইতিমধ্যে এই প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুই হাজারেরও অধিক গ্রন্থ এবং যুক্ত হয়েছেন প্রায় সাতশআটশ জন নবীন ও অভিজ্ঞ লেখক। এ উৎসব শুধুমাত্র লেখক ও পাঠকের মেলবন্ধন নয়, বরং এক সাহিত্য আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এই মিলনমেলা নতুন চিন্তা, নতুন কলম, নতুন সাহিত্যিক সৃষ্টির সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সেলিনা আখতার, শিক্ষাসংগঠক, প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, বায়েজিদ মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মাজহারুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন, শৈলীর প্রকাশনা উপদেষ্টা রাশেদ রউফ। উৎসবে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন উঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা। এ পর্বে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২য় পর্বে ছিল এবারে প্রকাশিত বইয়ের পরিচিতি ও আলোচনা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশশিরা, আলোচক ছিলেন ড. শ্যামলকান্তি দত্ত, অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া। যাঁদের বইয়ের ওপর আলোচনা হয়, তাঁরা হলেন . মো. আবুল কাসেম, . আনোয়ারা আলম, তরুণ কান্তি বড়ুয়া, এলিজাবেথ আরিফা মুবাশ্‌শিরা, দীপক বড়ুয়া, নাসের রহমান, ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, শঙ্কর প্রসাদ দে, আকাশ আহমেদ, এম নাসিরুল হক, কাসেম আলী রানা, রুনা তাসমিনা, নুসরাত সুলতানা, মোয়াজ্জেম হোসেন, কাজী জাহাঙ্গীর, সুবর্ণা দাশ মুনমুন, কানিজ ফাতিমা, জি এম জহির উদ্দীন, হেলাল চৌধুরী, সিমলা চৌধুরী, মুকুল চৌধুরী, মারজিয়া খানম সিদ্দিকা, মাহবুবা চৌধুরী, ফারহানা ইসলাম রুহী, সৈয়দ জিয়াউদ্দীন, লিপি বড়ুয়া, তারিফা হায়দার, প্রতিমা দেশ, কুতুবউদ্দীন বখতেয়ার, নাটু বিকাশ বড়ুয়া, শিরিন আফরোজ, মির্জা মোহাম্মদ আলী, রায়হানা হাসিব, জায়তুননেসা জেবু, রুদ্র আজাদ প্রমুখ।

তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় লেখকের কথামালা, আবৃত্তি ও ছড়া ছড়াকবিতা পাঠ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী। অংশগ্রহণ করেন প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, রেজাউল করিম স্বপন, দিলতাজ রহমান, মাহফুল আখতার, জসিম উদ্দিন খান, সুলতানা নুরজাহান রোজী, গোফরান উদ্দীন টিটু, কাঞ্চনা চক্রবর্তী, ইসমাইল জসীম, বিচিত্রা সেন, ফারজানা রহমান শিমু, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, গৌতম কানুনগো, ইফতেখার মারুফ, আরিফ রায়হান, শিপ্রা দাশ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজামায়াতের সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়ের বার্তা বিশ্ববাসীকেও নাড়া দিচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা