যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতে পারেন না, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত : ফারুক

| রবিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার কথা বললেও ভেতরে ভেতরে ‘বাজার সিন্ডিকেট সক্রিয় রাখছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য বলেন, ‘হায়রে কপাল, হায়রে দেশ, হায়রে মানুষ, হায়রে আওয়ামী লীগ। দাপট দিয়ে কথা বলে, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করব’, আর ভেতর দিয়া সিন্ডিকেট তৈরি করে।’ খবর বিডিনিউজের।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘সেই সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে আজকে মালয়েশিয়াকানাডাব্যাংককসিঙ্গাপুরে বাসা বানাবেন, বাড়ি বানাবেন, ব্যবসা করবেন আর বাংলাদেশের গরিব মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, এক কেজি দূরে থাক এক ছটাক মাংস কিনে খেতে পারে না। তারা (সরকার) আবার দাপট নিয়ে কথা বলে।’

তিনি বলেন, ‘যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতে পারেন না, যারা মানুষকে ঘরে শান্তিতে ঘুমাবার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন না, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আপনাদের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। আপনাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার নয়, জনগণের ভোটের সরকার নয়।’

সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘আপনারা আমাদেরকে অবহেলা করে কথা বলেন। নিজেরা যে দিন দিন অবহেলিত হচ্ছেন, আজকে যে নিজেদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছেন না। আমাদেরকে দুর্বল ভাববেন না। আমরা সবল আছি, আমরা সৎ আছি, আমরা অতীতে সততার সাথে সরকার পরিচালনা করেছি। তাই আমাদের নেত্রী বলেছেন, বিদেশিরা আমার বন্ধু, প্রভু নয়। বিদেশের মাটিতে আমার এক ছটাক জায়গাও নাই। আজকে বুকে হাত দিয়ে বলেন, পাকিস্তানে ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আজকে কত লক্ষ পরিবারকে কোটিপতি বানিয়েছেন? তার হিসাব একদিন আপনাদেরকে দিতে হবে।’

সরকার হটাতে ‘আন্দোলন চলবে’ মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জানি, কষ্ট হচ্ছে নেতাকর্মীদের। তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। জনগণ আমাদের সাথে আছে। অচিরেই কর্মসূচি আসবে, অচিরেই সরকার পতন আন্দোলনে বিএনপি আবার মাঠে নামবে। কড়ায়গণ্ডায় হিসাব নেওয়া হবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনের আগে পাকিস্তানজুড়ে বিস্ফোরণ, নিশানায় প্রার্থীরা