ঈদে নাড়ির টানে ফিরে যাচ্ছে মানুষ। দেশের বিভিন্ন গ্রাম ও মফস্বলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গত কয়েকদিন ধরে কর্মস্থল ছেড়ে যাচ্ছে সবাই। এবার মহাসড়কে আগাম সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করায় পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি ভোগান্তিহীন, যানজটহীন ও নিরাপদে আনন্দময় ঈদ যাত্রা ছিল সকলের। বিশেষ করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোন ধরনের যানজটের চিত্র দেখা যায়নি। গতকাল শনিবার ঢাকা থেকে মীরসরাই আসা চৌধুরী বোরহান উদ্দিন জানান, ঢাকা থেকে সকাল ৮টায় রওনা হয়ে দুপুর ১২টায় মীরসরাই পৌঁছান তিনি। চট্টগ্রাম থেকে বারইয়াহাট আসা কর্মজীবী সুলতানা আক্তার জানান, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ১০টায় বাসে উঠে সাড়ে ১১টায় বারইয়াহাট এসেছেন। পুরো সড়কে কোথাও যানজট বা ভোগান্তি হয়নি। আবার মহাসড়ক জুড়ে অন্য সময় যেভাবে লাইন ধরে ট্রাকের সারি থাকতো সেসব আর এবার তেমন চোখে পড়েনি।
মানুষ যেন ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি যেতে পারে এবং ঈদের পর ও নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারে সেজন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার কথা বাস্তবে প্রতিফলিত হওয়ায় যাত্রীরা বেজায় খুশি এবার।
গত কয়েকবছর ধরে ঈদের আগে দেশের মহাসড়কগুলো, বিশেষ করে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানযট ছিল ভয়াবহ। দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি ছিল অনেক।
এদিকে এবার ঈদের আগে কয়েকদিনের বাড়তি ছুটি থাকায় বড়ি ফেরার চাপ বেশি নেই। আবার ফেরার সময় ও দুদিনের বাড়তি ছুটি রয়েছে। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, মহাসড়কে নিরবচ্ছিন্ন ঈদ যাত্রায় আমরা সকল প্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দিবারাত্রী টহলসহ হাটবাজার এলাকায় মনিটরিং করছি। আশা করছি ঈদযাত্রা ও ফেরার পথে কোথাও কোন ভোগান্তি হবে না।