মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সব ভালো কাজ আবদুল্লাহ আল নোমানের সময়ে করা

সিভাসুতে স্মরণসভায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

| রবিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সব ভালো ভালো কাজ সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের সময়ে করা এবং সেগুলো এখনও চালু রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। বিকাল ৩টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান ও বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. . কে. এম. সাইফুদ্দিন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাংবাদিক নওশের আলী খান, সিভাসুর পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং আবদুল্লাহ আল নোমানের মেয়ে ডা. তাজিন নোমান। স্মরণসভার শুরুতে ‘সিভাসু এবং আবদুল্লাহ আল নোমান’ এর ওপর মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন সিভাসুর ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। মন্ত্রণালয়ের সব ভালো ভালো কাজ তার সময়ে করা। তাঁর করা কাজগুলো এখনও চালু রয়েছে। আমি মনে করি, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে যেটা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে এবং আমি তা করে যাবো। যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি, ততক্ষণ দেশের জন্য ভালো কাজ করে যাবো। স্মরণসভায় সাঈদ আল নোমান বলেন, আমি চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) যেন কোন রাজনীতির মধ্যে পড়ে না যায়।

এ বিশ্ববিদ্যালয় যেন সবকিছুতে নিরপেক্ষ থাকে এবং ভালো গ্র্যাজুয়েট তৈরির চেষ্টা করে। আমার পিতার প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমি সবকিছু করতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি নিজের জন্য কিছু করে যাননি। জনগণের জন্যই আজীবন কাজ করে গেছেন। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং ইন্টারন্যাশনাল কল্যাবরেশনের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অর্জন করছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়যার শতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে ইন্টার্নশিপ করার সুয়োগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের রূপকার হিসেবে সিভাসু পরিবার মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাসির উদ্দীনের মতো শিক্ষকেরা কাজের মাধ্যমে চিরজীবী হয়ে থাকেন
পরবর্তী নিবন্ধরবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন করল সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটি