মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস করে চিংড়ি ঘের নির্মাণের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অবৈধ দখলদারদের তিনটি চিংড়ি ঘেরের খামারবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বনবিভাগ ও প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ প্যারাবন ধ্বংসের চিত্র দেখতে সোনাদিয়ায় যান। তাঁর সঙ্গে অভিযানে অংশ নেন পুলিশ, বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে প্যারাবনের গাছপালা ধ্বংস করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া গাছপালা দেখতে পান পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এ সময় তিনটি চিংড়ি ঘেরের খামারবাড়ি (অস্থায়ী স্থাপনা) উচ্ছেদ করা হয়।
উল্লেখ্য, সামপ্রতিক সময়ে সোনাদিয়া দ্বীপে নতুন করে শতশত একর প্যারাবনের কেওড়া ও বাইনগাছ ধ্বংস করে তৈরি হয়েছে সাতটি চিংড়িঘের। এবার প্রকাশ্যে পেট্রোল ঢেলে গাছপালা পুড়িয়ে এসব ঘের করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনাদিয়ায় প্যারাবন নিধন করে চিংড়ি ঘের নির্মাণের খবর প্রচারিত হওয়ার ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে গত দুদিন আগেও গাছপালা পোড়ানোর চিহ্ন দেখা গেছে। সেখানে তিনটি চিংড়ি ঘেরে অস্থায়ীভাবে তৈরি খামারবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের আগে ঘেরের দখলদার ও শ্রমিকেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।