ম্যাচ হারলেও তৃপ্ত অ্যারন জনসন

স্পোর্টস ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১৩ জুন, ২০২৪ at ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ

শাহিন শাহ আফ্রিদির পরপর দুই বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু। পরে নাসিম শাহকেও চার মেরে স্বাগত জানালেন অ্যারন জনসন। হারিস রউফের বল ওড়ালেন ছক্কায়। পাকিস্তানের পেস আক্রমণে ভড়কে না গিয়ে কানাডার ওপেনার খেললেন দারুণ এক ইনিংস। তাই তো শেষ পর্যন্ত জয় না পেলেও, তার কাছে এটিই জীবনের সেরা ইনিংস। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে নতুন পিচে হয় কানাডা ও পাকিস্তানের ম্যাচ। পিচ বদলালেও আচরণ বদলায়নি একদমই। আগের ম্যাচগুলোর মতোই ব্যাটিংয়ের বধ্যভূমিতে জনসন খেলেন ৪টি চারছক্কায় ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তার ব্যাটিংয়েই একশ পেরিয়ে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর পুঁজি পায় কানাডা। তবে ১০৭ রানের লক্ষ্য ১৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে বাবর আজমের দল। আর কিছু রান বেশি করতে পারলে হয়তো জয়ের পাশাপাশি সুপার এইটের আশাও বাঁচিয়ে রাখতে পারত এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ডকে হারানো কানাডা।

ম্যাচ শেষে জনসন বলেছেন, দল থেকে পাওয়া স্বাধীনতার কথা। আমার মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি এখন পর্যন্ত আমার সেরা ইনিংস। ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠার সময় আপনি জানেন, পাকিস্তানে একটি জিনিস আছে। তা হচ্ছে দারুণ ফাস্ট বোলিং আক্রমণ। সেখানে নিজ দলের জন্য একটা ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারা, আমি মনে করি আমার সেরা দুই ইনিংসের একটি। বল যদি আমার নাগালের মধ্যে থাকে তাহলে সতীর্থ, কোচরা আমাকে নিজের সব শটস খেলার স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। একবার ছন্দ পেয়ে গেলে আমি জানতাম তারা লেংথ টেনে দেবে। কারণ তারা দেখেছে আমি রান করছি। তাই আমার জন্য বিষয়টা ছিল যত সম্ভব লম্বা ব্যাটিং করা। ৫২ রানের ইনিংসে আফ্রিদির বলে দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন জনসন। নাসিমের ওভারে মারেন দুটি চার। এছাড়া ইমাদের ওয়াসিমের বল ওড়ান দুটি ছক্কায়। অন্য ছক্কা আসে হারিসের বোলিংয়ে। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে ভালোভাবে সামাল দেওয়ার পর এবার সামনের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে কানাডা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংহাসন থেকে পাঁচে নেমে গেলেন সাকিব
পরবর্তী নিবন্ধমাত্র ৩৪ বলে নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া