জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম–১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) উপ নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে ভোটের এলাকায় ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া ভোটের দিন ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে অন্যান্য যান চলাচল। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ–সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম–১০ শূন্য আসনে উপ নির্বাচনে ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ২৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩০ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক আপ, কার ও ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৮ জুলাই রাত ১২টা থেকে ৩১ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লেখিত যানবাহন ছাড়াও যে কোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এদিকে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা–কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন– অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে পাঠানো নির্দেশনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।