মেহেদীর রঙ শুকানোর আগেই স্বামী হারালেন নববধূ

হালদা নদীতে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর মিলল যুবকের লাশ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রবাস জীবন থেকে ফিরে মাত্র ২৬ দিন পূর্বে নতুন জীবনে পদার্পণ করেছিলেন মো. মঞ্জু (৩০)। এখনো স্ত্রীর হাতের মেহেদী মুছেনি, শেষ হয়নি বিয়ের আনন্দঘন পরিবেশটাও। তবে এ সুখ তার কপালে বেশিদিন সইল না। মোটরসাইকেল নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে হালদা নদী পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজের পর মধ্যরাতে তার লাশ ভেসে উঠেছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবামায়ের বিলাপ এবং স্বামীকে হারিয়ে নববধূর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকার পরিবেশ।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভা ও সুয়াবিলের মাঝামাঝি সীদ্ধাশ্রম ঘাট এলাকায় নিখোঁজ হয় মঞ্জু। নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর রাত আড়াইটার দিকে নিখোঁজ হওয়া স্থানে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত মঞ্জু সুয়াবিল পাঁচ পুকুরিয়া চন্দ্রঘোনা এলাকার আব্দুল ইসলামের একমাত্র ছেলে।

জানা যায়, মঞ্জু এবং তার বন্ধু তাজ উদ্দীন মোটরসাইকেল নিয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে হালদা নদী পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে দুজনে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় তাজ উদ্দীন পানি থেকে উঠতে পারলেও মঞ্জু নিখোঁজ হয়ে যান। এ ব্যাপারে স্থানীয় সোহেল বলেন, নদীতে পড়ে সন্ধ্যা থেকে মঞ্জু নিখোঁজ ছিল। ৭ ঘণ্টা পর নিখোঁজের স্থানে তার লাশ পাওয়া যায়। মাত্র ২৬ দিন আগে তার বিয়ে হয়েছে।

এদিকে তার এমন মৃত্যুতে নদীপাড়ের মানুষদের মাঝে বেড়েছে আতংক; চলছে শোকের মাতম। নিহত যুবকের মা বিলাপ করে করে বলছেন, তুই কি আমাকে কাঁদানোর জন্যই বিদেশ হতে দেশে এসেছিলি? অন্যদিকে নববধূর স্বামী হারানোর কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে ওই এলাকার পরিস্থিতি।

এদিকে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এমন মৃত্যু কারোরই কামনা নয়, অত্যন্ত মর্মান্তিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম পাঠালেও রাত হওয়ায় তারা পানিতে নামেনি। উপজেলায় কোন ডুবুরি নেই, জেলায় ডুবুরির জন্য খবর পাঠালে তারা আসার আগেই নিখোঁজ যুবকের লাশ ভেসে উঠে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ