মেরিডিয়ান এগ্রোর বাগানে আন্তর্জাতিক মানের নানা প্রজাতির আমের চাষ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত মেরিডিয়ান এগ্রো থাই আমের চাষ দিয়ে কৃষি শিল্পে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নিজস্ব প্রক্রিয়ায় বান্দরবানে পাহাড়ে ১২শ একর জমিতে শীর্ষ গ্রেডের চারা থেকে গাছ উৎপাদন, সেই গাছ থেকে আমের ফলন এবং বাজারজাত করা হয়। এখানে রয়েছে থাই কাঁচা মিঠা আম, থাই নাম ডক মাই, থাই আপেল আম, থাই বানানা আম ও আম্রপালিসহ ৩৯ প্রজাতির আম। আমগুলো সুস্বাদু। কৃষি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে হর্টেক্স,
কৃষি সংস্থা (ডিইএ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউএসএআইডি, ফিড দ্য ফিউচার, এফটিএফবিএএনএসহ বেশ কিছু সংস্থার কৃষিবিদরা মেরিডিয়ান এগ্রোর ফল উৎপাদনে সহযোগিতা করছেন। মেরিডিয়ান আমের উপকারিতা অনেক। স্বাস্থ্যকর থাই আমগুলোর মধ্যে কাঁচা মিঠা আমে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুল সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পটাসিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবারসহ ভিটামিন এবং খনিজগুলোর সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে ‘থাই নাম ডক মাই’ আম।
মেরিডিয়ান এগ্রো এক যুগের বেশি সময় ধরে আম চাষের যাত্রা চলমান রেখেছে। আগে এই পাহাড়গুলোতে অল্প কিছু জায়গায় দেশীয় প্রজাতির আম চাষ হতো। মেরিডিয়ান এগ্রো সেখানে আন্তর্জাতিক মানের থাই চারা সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপাদন করছে। দেশীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে বিপণনও করছে। দেশের মানুষ যাতে সারা বছর আম খেতে পারে সেজন্য মেরিডিয়ান এগ্রো বারমাসি আম চাষ করছে।