মেটা-মাইক্রোসফটে চাকরির সুযোগ পেলেন চবি শিক্ষার্থী মোহাইমিন

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

২০১৬১৭ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ভর্তি হয়ে প্রায় তিন বছর আগে স্নাতক শেষ করেন গাজী মোহাইমিন ইকবাল। স্নাতক শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে দেশটির সান জোসে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর করছেন। এরই মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বখ্যাত টেক জায়ান্ট মেটা এবং মাইক্রোসফটে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার ডাক পেয়েছেন তিনি। গত কয়েক মাস ধাপে ধাপে পরীক্ষা শেষে সম্প্রতি তাকে নির্বাচন করে প্রতিষ্ঠান দুইটি। মোহাইমিনের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের চৌধুরীহাটে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মেটায় চাকরিতে যোগদান করবেন বলেন জানান মোহাইমিন।

জানা গেছে, মোহাইমিন ইকবালের বড়ভাই ইয়ামিন ইকবাল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পড়ার সময় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বর্তমানে চাকরি করছেন আরেক টেক জায়ান্ট গুগলে। বড়ভাইকে দেখেই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে তার। নিজেও নিয়মিত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করেন মোহাইমিন। চায়ের আড্ডা, ক্যারিয়ার ভাবনা, বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়েও মোহাইমিনের সঙ্গী ছিল প্রোগ্রামিং। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুপড়িগুলোতে বন্ধুদের সাথে প্রোগ্রামিং প্রবলেম নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠতেন। এক সময় ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রদের সঙ্গে ইন্টারইউনির্ভাসিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্টে (আইইউপিসি) অংশ নিতে শুরু করেন মোহাইমিন। কয়েকবার শীর্ষস্থানও দখল করেন তিনি।

অনুভূতি প্রকাশ করে মোহাইমিন ইকবাল বলেন, বিশ্বের দুই টেক জায়ান্ট মেটা এবং মাইক্রোসফটে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। এর জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে আমি সবচেয়ে চৌকস এবং সবচেয়ে মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবো। এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখতে চাই, দক্ষতা বাড়াতে চাই এবং এমন একজন মানুষ হতে চাই যার ওপর অন্যরা নির্ভর করতে পারবে। এ মাসের ১৮ তারিখ আমি মেটায় যোগ দিব। প্রবলেম সলভিং নিয়ে গভীর আবেগই আমাকে এই লেভেলের স্কিল আর যোগ্যতা তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

কিভাবে কাজ সুযোগ পেয়েছে জানিয়ে চবির এই সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, মেটাতে আবেদন করলাম। প্রথমে অনলাইন এসেসমেন্ট ছিল, যেখানে ৪টা কোডিং প্রবলেম দেওয়া হয়। এরপর পাশ করার পর ৩টি ৪৫ মিনিটের ইন্টারভিউ রাউন্ড হয়। ভালো করার পর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাই। মাইক্রোসফটের প্রসেসও অনেকটা একই। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপার মেটাতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই, আমাদের দেশ উন্নত ও সুখী সমৃদ্ধ হোক। যেন বিশ্ব আমাদেরকে একটি উদাহরণ হিসেবে দেখে। আশা করি, ইনশাআল্লাহ একদিন বাংলাদেশের নিজস্ব টেক জায়ান্ট থাকবে। যা সারা বিশ্বের মানুষ ব্যবহার করবে এবং গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশ থেকে এসেছে। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এমন একটি কিছু খুঁজে বের করো, যা তুমি সত্যিই ভালোবাসো। তারপর সেই জিনিসে নিজেকে উন্নত করতে কঠোর পরিশ্রম করো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ কে খান মোড় থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
পরবর্তী নিবন্ধসেপ্টেম্বরে আসবে নতুন ফেরি, পুরনো একটা দিয়ে চলবে মার্চ পর্যন্ত