রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃদুল দে (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ পটিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে পটিয়া আমির ভান্ডার গেটের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ সমাহিত করা হয়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, তাকে ৮ বছরের এক শিশুকন্যার নাম জড়িয়ে শ্লীলতাহানির দায় দিলে অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে মৃত্যুর প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়ার কালী পাহাড়ের বাসিন্দা জনৈক মৃদুল দে সম্প্রতি প্রতিবেশী ৮ বছরের এক নাতনিকে আইসক্রিম কিনে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুটির পিতা শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মৃদুলকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর মৃদুলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে মৃদুল রাগ, ক্ষোভ ও অভিমানে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। পরে পটিয়া উপজেলায় আমির ভান্ডার গেটের পাশ থেকে তার মৃতদহে উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।